সারাদিন রোদে ঘোরাঘুরি করে অনেকেরই হাতে ট্যান পড়ে যায়। রোদে পোড়া হাতের ত্বক বেশি কালচে দেখায়। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক কালো হয়ে যায়। ত্বক থেকে মেলানিন পিগমেন্ট বেরোয়। অতিবেগুনি রশ্মি ও মেলানিন পিগমেন্টের বিক্রিয়ার প্রভাবে ত্বক কালচে হয়ে যায়। অতিরিক্ত ট্যান থেকে ত্বকের ক্যানসার, ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে বলে জার্নাল অফ প্রাইমারি প্রিভেনশনে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে।
ঘরোয়া উপায় ঝকঝকে ত্বক কীভাবে পাবেন
(১) হলুদ ও দুধ মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করুন। হলুদে কারকুমিন নামক পদার্থ আছে যা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও ক্যানসার প্রতিরোধকারী। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ধীরে ধীরে ত্বকের মরা কোষ ও কালচে পোড়া ভাব দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। ২ চামচ হলুদ বাটা ও এক চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে হাতে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
(২) প্ল্যান্টস জার্নালের গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বলে পরিচিত। লেবুর অ্যাসিডিক প্রকৃতি ট্যান কমায়। অন্যদিকে, চিনি ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। একটা পাত্রে এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ চিনি মিশিয়ে হাতে লাগান। ৫-১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
(৩) অর্ধেক কুচি করা শশা ও ১ চামচ টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে হাতে লাগান। আফ্রিকান জার্নাল অফ বায়োটেকনোলজিতে বলা হয়েছে, শশার রস ট্যান দূর করতে সাহায্য করে। ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
(৪) চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপজল মিশিয়ে হাতে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। চন্দনের গুঁড়ো ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। গোলাপজল চুলকানি দূর করে।
(৫) ওটসের গুঁড়ো, মধু ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে হাতে লাগান। ৫-১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।