Home খবর বাংলাদেশ সস্তার এই অবস্থা! চিন থেকে অস্ত্র কিনে পস্তাচ্ছে বাংলাদেশ

সস্তার এই অবস্থা! চিন থেকে অস্ত্র কিনে পস্তাচ্ছে বাংলাদেশ

0

চিনা সামরিক সরঞ্জামের দীর্ঘসময়ের ক্রেতা বাংলাদেশ। চিন থেকে অস্ত্র কিনে এখন পস্তাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে, এই ঘটনার ভুক্তভোগী শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়। একটি রিপোর্টে প্রকাশ, মায়ানমারের মতো আরও কয়েকটি দেশ চিন থেকে যুদ্ধবিমান কিনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতামত উদ্ধৃত করে ইকনোমিক্স টাইমস-এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে অত্যন্ত পরিশীলিত সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব রয়েছে চিনে। তারা যে ধরনের সামরিক সরঞ্জাম এখনও তৈরি করে চলেছে, সেগুলি মোটেই আধুনিক হিসাবে বিবেচিত নয়। অভিযোগ, চিন এখনও যে অস্ত্র বিক্রি করছে তার বেশিরভাগই সেকেলে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। পশ্চিম থেকে নকল করা।

ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলির মতো একই ধরনের অস্ত্র তৈরি করলেও খরচ কমাতে গিয়ে গুণমানের সঙ্গে সমঝোতা করছে চিন। নিজের দেশের অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়ন (AVIC), নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (NORINCO) বা চায়না ভ্যানগার্ড ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেড (CVIC)-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মাধ্যমে অস্ত্র বিক্রি করে চিন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, এমন এক ব্যক্তির মন্তব্য উদ্ধৃত করে রিপোর্টে বলা হয়েছে,সম্প্রতি চিনা সংস্থাগুলির সরবরাহ করা কর্ভেট, পেট্রোল ক্রাফটস এবং উপকূলবর্তী টহল যানের ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরবরাহের অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ। এ সব জলযানে উৎপাদনকালীন ত্রুটি এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।

পাশাপাশি, চিনের তৈরি এফ-সেভেন যুদ্ধবিমান এবং প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত স্বল্প-পাল্লার বিমানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের বিমান বাহিনী। জানা গিয়েছে, কে-এইট ডব্লিউ বিমানের জন্য গোলাবারুদ চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয় বিমান বাহিনী। এমনটাও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে সরবরাহ করা চিনা যুদ্ধবিমানে ইন্টারসেপশন র‍্যাডার-সহ অন্য র‍্যাডারগুলি সঠিক মান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চিনের নরিনকো থেকে মেন ব্য়াটল ট্য়াঙ্ক (এমবিটি ২০০০) কিনেছিল। তাতেও ত্রুটি ধরা পড়ে। বাংলাদেশের তরফে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, বাংলাদেশে যন্ত্রাংশ সরবরাহে অসুবিধাআ রয়েছে।

এ দিকে, বাংলাদেশের মংলা বন্দরে আসার পর থেকেই চিনের তৈরি দুটি ফ্রিগেটে (বিএনএস উমর ফারুক এবং বিএনএস আবু উবাইদাহ) একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। যা বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর, এই সব নৌযান মেরামতের জন্য বাড়তি অর্থ দাবি করেছে চিনা সংস্থা। অথচ, নৌযানগুলি বাংলাদেশে আসার পরপরই এইসব ত্রুটি ধরা পড়েছে। সেক্ষেত্রে কার্যত দায় এড়িয়ে যাওয়ার পথ ধরেছে উৎপাদনকারী চিনা সংস্থা।

প্রায় এক দশক আগে, দুটি সংস্কার করা মিং-শ্রেণির সাবমেরিন বাংলাদেশকে বিক্রি করেছিল চিন। একেকটির দাম মাত্র ১০ কোটি মার্কিন ডলার। তার পর যা হওয়ার তাই হয়েছে। বাংলাদেশ পরে জানতে পারে এ ধরনের সাবমেরিনগুলি এখন অপ্রচলিত। সস্তার এই অবস্থা আর কী!

চিনা সংস্থা সিভিআইসি থেকে কেনা যুদ্ধজাহাজ ‘নির্মূল’-এ ইনস্টল করা সি৭০৪ সিস্টেমের সমস্যার কথা চিনকে জানানো হয়েছিল গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। বাংলাদেশের কাছ থেকে সমস্যার কথা জানতে পেরে সিভিআইসি বলে, বাড়তি টাকা দিলে তবেই ওই সিস্টেম আপগ্রেড করা সম্ভব।

আরও পড়ুন: জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকেরাও যখন লড়াইয়ের সৈনিক

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version