ভারত সীমান্তের কাছে তুর্কি নির্মিত যুদ্ধ এবং নজরদারি ড্রোন “বায়রাক্তার” মোতায়েনের পর এ বার তুর্কি টুলপার লাইট ট্যাঙ্ক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। তুর্কি ও ইতালির যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ২৬টি ট্যাঙ্ক বাংলাদেশের জলাভূমি, বন্যাপ্রবণ এবং অপ্রতুল স্থলভাগে যুদ্ধের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা ভারতের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু সামরিক আধুনিকায়নের উদ্যোগ নয়, পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক মিত্রতা পুনর্গঠনের ইঙ্গিতও দিচ্ছে।
তুরস্ক ও পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক
ট্যাঙ্ক চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক ভারতের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশকে উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী হয়ে উঠছে তুরস্ক। যেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করে ভারতকে আঞ্চলিক প্রভাবের প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পাচ্ছে ঢাকা।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অপসারিত হওয়ার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। বর্তমানে স্বাধীন কৌশল নিচ্ছে ঢাকা। যা ভারতের জন্য মাঝে মাঝে প্রতিকূল হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ এবং শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বার্তা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সামরিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক। এই উন্নয়ন ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।