খবর অনলাইনডেস্ক: সেপ্টেম্বরের গোড়ায় পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ায় আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কে (প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন নির্বাচিত হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ছিল— ‘‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।’’
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার ভোটারদের একাংশ বিশ্বাস করেছেন, স্বভাবে বেপরোয়া ট্রাম্প ইজরায়েল এবং ইউক্রেন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। তিনি যুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিতে পারেন, এমনটা সম্ভাবনা তাঁর ভোট অনেকটাই বাড়িয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনীকে ধারাবাহিক ভাবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বাইডেন সরকার। অন্য দিকে, ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলে হামলা চালানোর পর শুরু হয়েছে ধারাবাহিক অশান্তি।
এ দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের পুরোনো সমীকরণও মাথায় রেখেছেন ভোটদাতাদের অনেকে। ভরসা করেছেন তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ স্লোগানে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বাইডেন সরকারের ইজরায়েল নীতিতে ক্ষুব্ধ আরবীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের একটি অংশও এ বার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন, যাঁরা চিরাচরিত ভাবে ডেমোক্র্যাট সমর্থক বলেই পরিচিত।
ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পরেই বার্তা এসেছে হামাসের পক্ষ থেকে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বুধবার বলেন, ‘‘বাইডেনের আমলে অন্ধ ভাবে আমেরিকা সমর্থন করেছে ইজরায়েলকে। গাজা ভূখণ্ডে প্যালেস্তাইনি নারী, শিশুদের হত্যালীলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেনা। ট্রাম্প যেন সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করেন। ইজরায়েলকে একতরফা সমর্থন বন্ধ করেন।’’
এখন দেখার তিনি ভোটপ্রচারে যে যুদ্ধ থামানোর কথা বলেছিলেন, সেটা স্রেফ কথার কথা, নাকি কাজেও কিছু করে দেখাবেন।