Home খবর বিদেশ শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বামপন্থী জোট, ৬৩ শতাংশ ভোট নিয়ে অপ্রতিরোধ্য...

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বামপন্থী জোট, ৬৩ শতাংশ ভোট নিয়ে অপ্রতিরোধ্য অবস্থানে এনপিপি

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বামপন্থী জোট
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বামপন্থী জোট

কলম্বো: নতুন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকের দল পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে রয়েছে বলে প্রাথমিক ফলাফল জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের অর্ধেকের বেশি ব্যালট গণনা হওয়ার পর দেখা গেছে, দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোট ৬৩ শতাংশ ভোট নিয়ে অপ্রতিরোধ্য অবস্থানে রয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, ২২৫ সদস্যের সংসদের প্রায় প্রতিটি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনপিপি। বিদায়ী পার্লাামেন্টে এনপিপি-র মাত্র তিনটি আসন ছিল, তবে এবার তারা উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য পাচ্ছে।

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও দেশের চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

বৃহস্পতিবার ৫৫ বছর বয়সী দিসানায়েকে একটি ‘দৃঢ় সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন, যাতে তিনি তাঁর কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে পারেন। রাজধানীর এক ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এটি শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন যা পরিবর্তনের সূচনা করবে।’

নির্বাচনে ৯ ঘণ্টার ভোটগ্রহণকালীন কোনও হিংসার ঘটনা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনজন নির্বাচনকর্মী, যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবলও ছিলেন, অসুস্থতায় মারা যান।

ভোটার উপস্থিতির হার আনুমানিক ৭০ শতাংশের কম ছিল, যা সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় কম, যে নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিল।

কলম্বোর ওয়েল্লাওয়াট্টে জেলার ৭০ বছর বয়সী পেনশনভোগী মিল্টন গাঙ্কানডাগে বলেন, “আমি একটি নতুন দেশ, মানুষের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ একটি নতুন সরকার প্রত্যাশা করি। আগের শাসকেরা আমাদের প্রতারিত করেছে। আমাদের এমন শাসক দরকার যারা দেশকে উন্নত করবে।”

দিসানায়েকে প্রায় ২৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কৃষি মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর জেভিপি দল ১৯৭১ এবং ১৯৮৭ সালে দুটি অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল। যাতে অন্তত ৮০,০০০ মানুষ নিহত হন। তবে এবারের নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শিভালোগাদাসান জানান, দিসানায়েকে তার প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও সময় প্রয়োজন।  তিনি বলেন “কিছু পরিবর্তন শুরু হয়েছে… তবে তাৎক্ষণিক কিছু আশা করা যায় না”।

আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version