Home খবর বিদেশ প্রথমবার সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রথমবার সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিচ্ছে ব্রিটেন

লন্ডন: ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারের পর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার আগে ভোটারদের ফটো আইডি বা সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথমবার যুক্তরাজ্যে জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। স্থানীয় বিদ্যালয়, কমিউনিটি হলসহ বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার হাউজ অব কমনের সাড়ে ছয়শো সদস্য নির্বাচন করবেন। প্রতিটি এলাকার ফলাফল রাতে এবং শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হবে। সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তত ৩২৬টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নিবন্ধিত নাগরিকরা এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। গত ১৮ জুন এই নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের একটি আইনি পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাজ্যের বাইরে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করা প্রায় ২০ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকও এবার ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে পেরেছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের ভোটারদের ফটো আইডি বা শনাক্তকরণ ছবি প্রদর্শন করতে হবে। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির বাস পাস এবং ওয়েস্টার ৬০+ কার্ডসহ মোট ২২ ধরনের আইডি কার্ড গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হয়েছে। তবে উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২০০৩ সাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য আইডি প্রদর্শন করতে হয়, যেখানে নয় ধরনের আইডি কার্ড গ্রহণযোগ্য।

যারা সঠিক আইডি ছাড়াই ভোট দিতে চান, তারা ভোটার অথরিটি সার্টিফিকেট নামে বিনামূল্যের একটি নথির জন্য আবেদন করতে পেরেছেন। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের যেসব ভোটারের আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে, তারা ভোটের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাতে অন্য কোনো নিবন্ধিত ভোটার তাদের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

অনেক ভোটার ইতোমধ্যেই ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। যারা পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও তা ফেরত দেননি, তারা রাত ১০টার মধ্যে তাদের স্থানীয় ভোটকেন্দ্রে তা হস্তান্তর করতে পারবেন। এছাড়াও অফিস চলাকালীন স্থানীয় কাউন্সিল অফিসেও পোস্টাল ভোট জমা দেয়া যাবে।

নির্বাচনের নতুন আইন এবং ব্যবস্থাপনার কারণে এবারের নির্বাচন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটারদের জন্য নিরাপত্তা এবং প্রমাণিকতার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

ভোট দেওয়ার পর কী বলছেন ভোটাররা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version