উত্তরপ্রদেশের করহাল বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় ২৩ বছরের এক দলিত যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আজ, বুধবার সকালে একটি বস্তার মধ্যে উদ্ধার হয় দেহটি। ঘটনায় জড়িয়েছে রাজনীতি। নিহত মহিলার পরিবারের অভিযোগ, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির এক কর্মী তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রশান্ত যাদব এবং মোহন কাথেরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের বাবা অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়িতে এসে তিন দিন আগে প্রশান্ত যাদব জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর মেয়ে কোন প্রতীকে ভোট দেবেন। মেয়ে উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি পদ্মফুলে ভোট দেবেন, কারণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় তাঁদের পরিবার একটি ঘর পেয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ‘সাইকেল’ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেন প্রশান্ত।
এই খুনের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টিকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। জলের রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরি এক্স (আগের টুইটার)-এর পোস্টে লেখেন, “মৈনপুরি জেলার করহালে সমাজবাদী পার্টির প্রশান্ত যাদব এবং তার সঙ্গীরা একটি দলিত কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, কারণ সে ‘সাইকেল’-এ ভোট দিতে অস্বীকার করেছিল।”
এদিকে, সমাজবাদী পার্টির করহাল কেন্দ্রের প্রার্থী তেজ প্রতাপ যাদব এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দলীয় মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “বিজেপি আমাদের দলকে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে। এর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির কোনো যোগসূত্র নেই।”
সমাজবাদী পার্টির অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পুলিশ করহালে টহল দেওয়ার নাম করে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে।
দলিত যুবতীয় খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতিতে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি এবং বিরোধী সমাজবাদী পার্টির মধ্যে এই দ্বন্দ্ব উত্তরপ্রদেশের নয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে।
এর আগে করহাল কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের হাতে ছিল। তিনি কানপুর থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন। এ দিন সকাল থেকেই অখিলেশ যাদব প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এবং মানুষকে ভোট না দিয়ে বাড়ি না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য দিকে, বিজেপি দাবি করেছে যে, সমাজবাদী পার্টি তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।