নয়াদিল্লি: সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) ‘গ্রামীণ ভারত বন্ধ’-এর ডাকা হয়েছে। এর আওতায় সারাদেশের কৃষক-শ্রমিকদের প্রতি আজ তাঁদের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে এবং এর কী প্রভাব পড়বে।
সংগঠনগুলি জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই বন্ধ। এর পরে, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিসাউলিতে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই বন্ধকে গ্রামীণ ভারত বন্ধ নাম দেওয়া হলেও এর প্রভাব শহর এলাকাতেও পড়তে পারে। প্রকৃতপক্ষে, কৃষকরা আরও বলেছেন যে তাঁরা এই ধর্মঘটের সময় কয়েক ঘন্টা হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখবেন। ফলে শহরাঞ্চল সম্পর্কিত অনেক বিষয় এর জন্য প্রভাবিত হতে পারে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা বলেছে যে বন্ধের সময়, সবজি এবং অন্যান্য ফসলের সরবরাহ ও কেনাকাটাও স্থগিত থাকবে। বলা হচ্ছে, বন্ধের সময় শহরের দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। এই বন্ধের সময়, পরিবহন, কৃষি কার্যক্রম, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (মনরেগা) গ্রামীণ কাজ, ব্যক্তিগত অফিস, গ্রামের দোকান এবং গ্রামীণ শিল্প ও পরিষেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাস চলাচল ও হাইওয়ে বন্ধ থাকবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
জানানো হয়েছে, বন্ধ চলাকালীন জরুরি ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধের দোকান, সংবাদপত্র সরবরাহ, বোর্ড পরীক্ষা, বিমানবন্দরে যাতায়াতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা-সহ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এবং ট্রেড ইউনিয়ন যৌথভাবে এই বন্ধের ডাক দিয়েছে। এই বন্ধ ডাকার পিছনে রয়েছে কৃষকদের নানা দাবি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হল ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত। উচ্চ বিদ্যুতের বিল কমানোর দাবিও করছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, তারা আখের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বকেয়া পরিশোধ করা উচিত। কৃষকরাও ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কমানোর দাবিও করছেন।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি কমিশনের