দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের দ্বিতীয় পদযাত্রার পরিকল্পনায় আবারও উত্তপ্ত হতে চলেছে পরিস্থিতি। আগামীকাল দুপুর ১টা থেকে শম্ভু সীমান্তে অবস্থানরত কৃষকরা পদযাত্রা শুরু করবেন। এর আগে সোমবার উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করার চেষ্টা করলেও নয়ডায় আটকে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জেরে সীমান্তে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
কৃষকদের এই আন্দোলন “সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক)”-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাঁদের মূল দাবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) আইনি গ্যারান্টি। এর পাশাপাশি কৃষিঋণ মকুব, কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য পেনশন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিরোধিতা, পুলিশের দেওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ২০২১ সালের লাখিমপুর খেরির ঘটনার জন্য বিচার দাবি করছেন তাঁরা।
কৃষকরা ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে অবস্থান করছেন। দিল্লি অভিমুখে পদযাত্রার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় তাঁদের মিছিল থেমে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হরিয়ানার অম্বালায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এর ফলে চার বা তার বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ এবং পদযাত্রাও বন্ধ।
সীমান্তে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, মাল্টি-লেয়ারের ব্যারিকেড দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সীমান্তে উপস্থিত হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ বলে উল্লেখ করলেও সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষের অসুবিধার বিরোধিতা করেছেন। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও উজ্জ্বল ভূইয়ানের বেঞ্চ বলেছে, “আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে পারেন, কিন্তু মানুষের অসুবিধা করবেন না। খানৌরি সীমান্ত পাঞ্জাবের লাইফলাইন।”
এর মধ্যেই ২১ ফেব্রুয়ারি শম্ভু সীমান্তে সংঘর্ষের সময় পাঞ্জাবের কৃষক শুভকরণ সিংয়ের মৃত্যু হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছিল।
কৃষকদের এই আন্দোলনের ফলে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে যানজটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সব খবর পড়ুন