শহর হোক বা গ্রাম, দেশের সব বাড়িতেই এখন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি গ্যাস। খুব কম রান্নাঘরই রয়েছে, যেখানে গ্যাস সিলিন্ডার নেই। অনেকেই মনে করেন, রান্নার পর গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে রাখলে, তা বেশিদিন চলে। এই ধারণা কি সত্যিই কার্যকরী?
এতে কি আদৌ সাশ্রয় হয়?

নতুন করে বলার নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলে রান্নাবান্না অনেক সহজ হয়ে যায়। আর খাবার দ্রুত রান্না হয়ে যাওয়ার ফলে সময়ও কম লাগে। যে কারণে ভারত সরকার গ্যাস সংযোগের উপর ভরতুকিও (সামান্য হলেও) দিয়ে থাকে। অনেকে রান্না হয়ে যাওয়ার পর তখনকার মতো গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে রাখেন। এতে কি আদৌ সাশ্রয় হয়?
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
আসলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার পর রেগুলেটর বন্ধ করে রাখলে গ্যাস লিকেজের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তা ছাড়া, গ্যাস সিলিন্ডার লিক হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা ব্যবহারের পরে রেগুলেটর বন্ধ করার পরামর্শও দেন।
কী ভাবে খরচ কমাবেন?
তাই বলে এর ফলে গ্যাসের খরচ কমে যাবে, সেটা আশা করা ঠিক নয়। আপনি যদি সিলিন্ডার বেশি দিন চালাতে চান, তা হলে অন্য পদ্ধতি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, রান্না করার সময়, আপনি কম আঁচে গ্যাস ব্যবহার করুন। পাশাপাশি, রেগুলেটর, পাইপ এবং বার্নারের যথাযথ যত্ন নিন। পাইপে সামান্যতম লিকেজ ধরা পড়লে বদলে নিন। আর বার্নারে যদি ময়লা জমে, তাতেও সিলিন্ডার দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়।
লিকেজ ধরবেন কী ভাবে?
রেগুলেটর বা পাইপে সামান্য জল বা সাবান গোলা জল ঢেলে দিলে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়। যদি দেখেন কোনো জায়গায় বুদবুদ উঠছে, তা হলে বুঝতে হবে গ্যাস লিক হচ্ছে। এ ছাড়াও আপনি গ্যাস এজেন্সিতে কল করে ডেলিভারি বয়কে আপনার বাড়িতে ডেকে নিতে পারেন। ডেলিভারি বয়ের কাছে থাকে বিশেষ ধরনের মেশিন। যা দিয়ে গ্যাস লিক হচ্ছে কি না, তা সহজেই জেনে নেওয়া যায়।