বেঙ্গালুরু: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি ব্যবহারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল। দেশজোড়া এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে কর্নাটক সরকার শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের মন্দির ব্যবস্থাপনা সংস্থার অধীনে সমস্ত মন্দিরে শুধুমাত্র কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন (KMF) কর্তৃক উৎপাদিত নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মন্দির ব্যবস্থাপনা সংস্থার অধীনে থাকা ৩৪,০০০ মন্দিরের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য। যেখানে মন্দিরের পূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রসাদ প্রস্তুতি ও দাসোহ ভবনে (যেখানে ভক্তদের খাবার পরিবেশন করা হয়) নন্দিনী ঘি ছাড়া অন্য কোনো ঘি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্দিরগুলির প্রসাদ তৈরির মান বজায় রাখতে হবে এবং তা নিয়ে কোনো আপস চলবে না। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, “কর্নাটকের ধর্মীয় দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত মন্দিরে সেবার জন্য, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রসাদ প্রস্তুতি এবং দাসোহ ভবনে শুধুমাত্র নন্দিনী ঘি ব্যবহার করতে হবে। মন্দিরে প্রসাদ তৈরির মানের ক্ষেত্রে কোনো রকম অবহেলা করা যাবে না।”
এই নির্দেশিকাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরের প্রসাদে (বিশেষত লাড্ডু) ঘিতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর এক বিবৃতি থেকে, যেখানে তিনি মন্দিরে ব্যবহৃত ঘিয়ের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং দাবি করেন যে, পরীক্ষায় ওই ঘিতে পশুর চর্বির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপ মূলত মন্দিরগুলিতে প্রসাদ ও সেবার গুণমান রক্ষা করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। তবে এ ধরনের নির্দেশিকা কার্যকর হলে স্থানীয় দুধ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত নন্দিনী ব্র্যান্ডকেও উৎসাহিত করা যাবে।