নয়াদিল্লি: কেরলের ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর অভিষেক নির্বাচনে দুরন্ত সাফল্য পেলেও মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে মুখ পুড়ল কংগ্রেসের। এটি কংগ্রেসের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম খারাপ পারফরম্যান্স হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়েনাড় লোকসভা উপনির্বাচনে রাহুল গান্ধীর রেকর্ড ভোট ব্যবধানকে ছাপিয়ে গেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। আর প্রিয়ঙ্কা ৬ লক্ষ ১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের সত্যন মোকেরি পেয়েছেন মাত্র ২ লক্ষ ৬ হাজার ভোট।
শেষ লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী রায়বরেলি থেকেও জয়লাভ করেন। যে কারণে পরে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। উপনির্বাচনে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রিয়ঙ্কাকে মনোনীত করেছিল। রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন, এই আসনের দেখভাল করার জন্য এখন তাঁর বোনও থাকবেন।
ওয়েনাড়ে এ বারের নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৬৫ শতাংশ। যদিও এটি ২০২৪ সালের প্রায় ৭৪ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের ৮০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের বিপর্যয়
মহারাষ্ট্রে বিপুল জয়লাভ করেছে বিজেপি। যার একটি বড় অংশ এসেছে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক থেকে। ২০১৯ সালের ৪৪টি আসন থেকে কমে এবার কংগ্রেস মাত্র ২২টি আসনে এগিয়ে আছে। রাজ্যে ১০১টি আসনে লড়লেও ফল হতাশাজনক।
উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) কিছুটা ভালো পারফর্ম করেছে, ৯৫টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে এগিয়ে। যদিও এটি ২০১৯ সালের তুলনায় মাত্র ৪টি আসন বেশি।
এনসিপি-র শরদ পওয়ার শাখা একেবারেই খারাপ ফল করেছে। ৮৬টি আসনে লড়ে মাত্র ১২টিতে এগিয়ে রয়েছে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে একটিও কম।
ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া ব্লকের জয়
ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বে ইন্ডিয়া ব্লক জয়লাভের পথে। কিন্তু কংগ্রেস সেখানে ১৪টি আসনে এগিয়ে, যা ২০১৯ সালের চেয়েও ২টি কম।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফলাফল কংগ্রেসের জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া আনলেও ওয়েনাড়ের সাফল্য প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যতের আশা জাগিয়ে রাখছে!