পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের মধ্যে কোনও সাপ মেলেনি। মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার আগে স্নেক হেল্পলাইনে দুটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ওড়িশার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোষাগারের বাইরে দল দুটি হাজির ছিল। কিন্তু তাদের ডাক পড়েনি।
স্নেক হেল্পলাইনের প্রধান শুভেন্দু মল্লিক মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার পর বলেন,”রত্ন ভান্ডার খোলার প্রক্রিয়ায় আমাদের থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ভিতরের চেম্বারে ডাকা হয়নি।” তিনি জানান সাপ আছে আশঙ্কা করে মন্দিরের রত্ন ভান্ডার খোলার সময় তাঁদের হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। সেই মতো তাঁদের দুটি দল হাজির ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আর ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে যদি আবারও তাদের ডাকা হয় তবে তারা সাহায্যের জন্য প্রস্তত।”
রত্ন ভান্ডার মনিটারিং কমিটির এক সদস্য ড. সিবিকে মোহান্তি বলেন, “আমি মন্দিরের মধ্যে কোনও সাপ দেখতে পাইনি। আমরা শুধু কন্টেনারগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা রত্ন ভান্ডারের ভিতরের চেম্বারে কোনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি।”
প্রসঙ্গত, ‘রহস্যময়’ এই রত্ন ভান্ডারটি খোলা হল প্রায় ৪৬ বছর পর। ভান্ডারের দরজা শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। রবিবা দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে, ‘পবিত্র মুহূর্তে’ খোলা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের দরজা। ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের পরামর্শে রত্নভান্ডারটির সংরক্ষণের কাজের জন্য একে খোলা হয়েছে।
জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভান্ডার নিয়ে নানা রকম কাহিনি চালু আছে। বলা হয়, ভান্ডারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জগন্নাথ মন্দিরের বিপুল রত্নসামগ্রীর পাহারায় থাকে সাপেরা! যদিও সেই সব দাবির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রবিবার রত্নভান্ডারটির দরজা খুলে তার ভিতরে প্রবেশ করেন ১১ সদস্যের একটি দল। এই দলে রয়েছেন রত্নভান্ডার নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সভাপতি বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ এবং কমিটির সদস্য তথা জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি, পুরীর মহারাজা গজপতির একজন প্রতিনিধি এবং কমিটির বিশিষ্ট সদস্য সিবিকে মোহান্তি।
রত্নভান্ডারের যাবতীয় সম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে একটি বিশেষ ‘ভল্টে’। তার জন্য রবিবার রত্ন ভান্ডারের দরজা খোলার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় ৬টি বড় সিন্দুক। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথমে রত্ন ভান্ডারের থাকা ধনরাশির অডিট করা হবে। তার পরে তা পাঠানো হবে সুরক্ষিত ভল্টে। কী ভাবে সম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন হবে তারজন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ তৈরি করে দেওয়া। তা মেনেই রত্ন ভান্ডার সংরক্ষণের যাবতীয় কাজ করা হবে।