Home খবর দেশ তাহাউর রানার প্রত্যার্পণ কার সাফল্য! কৃতিত্ব নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস তরজা

তাহাউর রানার প্রত্যার্পণ কার সাফল্য! কৃতিত্ব নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস তরজা

১৬ বছর পর ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে দেশে ফেরত এনে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করল ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। তবে এই প্রত্যার্পণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। কৃতিত্ব কে পাবে— তাই নিয়ে মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, এটি আসলে ইউপিএ সরকারের সময় শুরু হওয়া কূটনৈতিক প্রয়াসের ফল, যার কৃতিত্ব মোদী সরকার নিতে চাইছে।

মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”

তবে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদম্বরম পাল্টা বলেন, “মোদী সরকার এই প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এটি দীর্ঘ কূটনৈতিক ও আইনগত পরিশ্রমের ফল যা ইউপিএ জমানায় শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সাল থেকে রানার ভূমিকা চিহ্নিত করা হয়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই ভিত্তিতে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ পদক্ষেপে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৮ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে এসে পৌঁছান।”

চিদম্বরম আরও বলেন, “এই প্রত্যার্পণ কোনও ‘চেস্ট-থাম্পিং’ নয়, এটি কূটনীতি, আইন প্রয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি সফল উদাহরণ।”

বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা অবশ্য বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

তাহাউর রানাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যার্পণ করে বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে আনা হয়। এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রত্যার্পণের মাধ্যমে ২৬/১১ হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারীকে বিচারের আওতায় আনল ভারত। ওই হামলায় ১৬৬ জন প্রাণ হারান, যার মধ্যে ছিলেন মার্কিন নাগরিকরাও। আহত হন ২৩৮ জনেরও বেশি।

রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।

পড়ুন। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী তাহাউর রানাই, ভারতে ফেরত এনে জানাল এনআইএ, জেরা শুরু

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version