উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ২৫ বছর বয়সি এক মুসলিম ব্যক্তিকে পরিচয় গোপন করে আন্তঃধর্মীয় বিয়ে করার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক ২০ বছর বয়সি হিন্দু যুবতীকে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করে এবং ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করে।
মামলার রায় অনুযায়ী, অভিযুক্তের বাবাকেও দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। এই শাস্তিগুলি উত্তরপ্রদেশ সরকারের বেআইনি ধর্মান্তরণ আইন (সংশোধনী), ২০২৪-এর আওতায় দেওয়া হয়েছে, যা দু’মাস আগে প্রণীত হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী এটিই প্রথম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়।
যুবতী আদালতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নিজেকে আনন্দ কুমার নামে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একটি কম্পিউটার কোচিং সেন্টারে পড়ার সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়। অভিযুক্ত তাঁর হিন্দু পরিচয় বজায় রাখতে ডান হাতে লাল সুতো পরত এবং পরে তাদের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যুবতীকে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সিঁদুর পরিয়ে তাঁকে বিয়ে করে অভিযুক্ত। কিন্তু পরে অভিযুক্ত তাঁকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে, তিনি জানতে পারে অভিযুক্ত আসলে একজন মুসলিম এবং তাঁর আসল নাম মহম্মদ আলিম আহমেদ। সেখানে অভিযুক্তের পরিবার তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়, কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেন।
ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের বিচারক রবি কুমার দিবাকর অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন এবং এই রায়ের অনুলিপি রাজ্যের পুলিশ প্রধান, মুখ্যসচিব এবং বরেলির সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশকে পাঠান, যাতে অভিযুক্তকে উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরণ আইনের অধীনে মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুলাই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা এই আইনের সংশোধনী পাস করে, যেখানে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের শাস্তি বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে।