উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা গ্রামে তুষারধসে আটকে পড়া শেষ ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের পর রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হলো উদ্ধার অভিযান। এই বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮-এ। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মণীশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘‘শেষ নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৫৪ জনকে উদ্ধার বা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মানা গ্রামের উদ্ধার অভিযান শেষ হলো।’’
উদ্ধার অভিযানের প্রধান আপডেট
- রবিবার সেনা, আইটিবিপি, এয়ার ফোর্স, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর যৌথ প্রচেষ্টায় শেষ নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়, যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে।
- মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী টানা দ্বিতীয় দিন দেরাদুনের আইটি পার্কে থাকা ডিজাস্টার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন এবং উদ্ধার অভিযান পর্যালোচনা করেন।
- উদ্ধার হওয়া বিজয় পান্ডে নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘‘আমরা একটি কন্টেইনারে ছিলাম, তুষারধসের সময় সেটি ভেসে গিয়েছিল। কন্টেইনারের মধ্যে মোট ৯ জন ছিল, যার মধ্যে ৪ জন এখন জোশীমঠ সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’’
- ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) রবিবার ড্রোন-ভিত্তিক একটি বিশেষ যন্ত্র পাঠায়, যা তুষারের নিচে আটকে থাকা বস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম। পাশাপাশি, এসডিআরএফ-এর যোগাযোগ দল শ্রী বদ্রীনাথ ধামের উদ্দেশে রওনা হয় নিখোঁজ বিএআরও (BRO) কর্মীদের সন্ধানে।
বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের কর্মীরা তুষারধসে আটকে পড়ার পর সেনাবাহিনী, ভারতীয় বিমানবাহিনী, আইটিবিপি, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর যৌথ অভিযানে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়। রবিবার শেষ নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের এই তুষারধসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us