উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১০৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা অনেক। এই মর্মান্তিক ঘটনা হয় নারায়ণ সাকার হরি, যিনি সাকার বিশ্ব হরি বা ভোলে বাবা নামেও পরিচিত, তাঁর একটি অনুষ্ঠানে।
পদপিষ্টের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তৎক্ষণাৎ প্রশাসনিক কর্তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রীও হাসপাতালে গিয়ে আহতেদের সঙ্গে দেখা করেন।
কে এই ভোলে বাবা
ভোলে বাবা উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার পাতিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দাবি অনুযায়ী তিনি আগে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এর কর্মচারী ছিলেন। তিনি ২৬ বছর আগে তার সরকারি চাকরি ছেড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লি।
ভোলে বাবা ঠিক আধুনিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মতো নয়। তিনি সামাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকেন। কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাঁর কোনও অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই। তাঁর অনুগামীরা দাবি করেন, বাবার প্রভাব গ্রামীণ স্তরে অত্যন্ত গভীর।
হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু
ভোলে বাবার অনুষ্ঠানগুলি প্রতি মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়। এই সমাবেশগুলিতে স্বেচ্ছাসেবকরা ভক্তদের জন্য খাদ্য এবং পানীয়ের ব্যবস্থা করে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময়েও ভোলে বাবা বড়ো জনসমাগমের করে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। যা তাঁর জনপ্রিয়তা এবং প্রভাবের পরিচয় দেয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।