ভুয়ো শিরোনাম এবং থাম্বনেল ব্যবহার করা ভিডিওগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ইউটিউব। এমন কিছু ভিডিও ইউটিউবে দেখানো হয়, যার সঙ্গে শিরোনাম অথবা থাম্বনেলের কোনো সম্পর্ক থাকে না। শুধুমাত্র ‘ভিউ’ বাড়ানোর জন্যই চমকে দেওয়া উপস্থাপন। সংস্থার মতে, এটি “অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট” (clickbait)। এ ধরনের ভিডিয়োর বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউটিউব।
অনেক সময় দেখা যায়, ব্রেকিং নিউজ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কিত ভিডিওগুলিতে অনেকেই মিথ্যাচারের সুযোগ নেয়। এমন কিছু শিরোনাম জুড়ে দেওয়া হয়, যেখানে ভিডিয়োর মধ্যে সেই সম্পর্কিত কোনো বিষয় থাকে না। এসব ক্ষেত্রে ইউটিউবের নতুন নীতিটি প্রযোজ্য হবে।
গুগল জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি ধীরে ধীরে চালু করা হবে। প্রথমে ইউটিউব কনটেন্ট সরিয়ে নেবে, তবে চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো স্ট্রাইক দেওয়া হবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যাতে নতুন নিয়মের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, সেই সুযোগ দেওয়া হবে প্রাথমিক ভাবে। তবে, নতুন আপলোড করা ভিডিয়োগুলির ওপরই এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, পুরনো কনটেন্টে নয়।
গুগল ইন্ডিয়ার একটি ব্লগ পোস্টে ইউটিউব জানিয়েছে, “এটা দর্শকদের প্রতারিত, হতাশ বা বিভ্রান্ত করতে পারে—বিশেষত যখন তাঁরা ইউটিউবে গুরুত্বপূর্ণ বা সময়োপযোগী তথ্য খুঁজতে আসেন”।
এই নীতির উদাহরণ হিসেবে এমন কিছু ভিডিয়োর কথা বলা হয়েছে, যেখানে বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলা হলেও ভিডিওতে সেসব নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। অথবা “টপ পলিটিক্যাল নিউজ” শিরোনামে থাম্বনেল থাকলেও সংবাদ বিষয়ক কোনও কিছুই আলোচনা করা হয়নি ওই ধরনের ভিডিয়োতে। কিছু ক্রিয়েটরকে দেখা যায়, পুরনো কোনো ভিডিয়োয় ‘লাইভ’ স্টিকার সেঁটে দিয়ে নতুন করে পোস্ট করে।
অর্থাৎ, এই নীতি তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যেখানে ভিডিয়োর প্রচারমূলক উপাদান এবং আসল কনটেন্টের মধ্যে স্পষ্ট অমিল থাকছে।
ইউটিউব আরও জানিয়েছে, তারা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (CAA) সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অ্যালগরিদম প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করবে, যা তাদের ছবির ওপর এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট শনাক্ত করতে ও পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।