উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: এ বারের ভাইফোঁটায় ভাইয়ের পাতে ইলিশ পড়বে কিনা তা নিয়ে দিদি ও বোনেরা পড়েছেন চিন্তায়।
ভাইফোঁটায় ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা। আর তারপর জমে ওঠে একেবারে রাজকীয় ভোজের আয়োজন। ভাইফোঁটার মেনুতে থাকে ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পদ, যার মধ্যে ইলিশ মাছ অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু এ বার ইলিশ নিয়ে খারাপ খবর শোনাচ্ছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।
কয়েক দিন আগে ঘূর্ণিঝড় দানার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর প্রভাবে কয়েকদিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। আবহাওয়া স্বাভাবিক হতেই কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দীঘি, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ড হারবার-সহ বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবীরা আবারও সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে গিয়েছিলেন, কিন্তু তেমন সাফল্য পাননি বলে জানা গিয়েছে।
যদিও কিছু হরজাবালি মাছ পাওয়া গেছে, তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের সংখ্যা অত্যন্ত কম। হাতে গোনা সামান্য কিছু ইলিশ পড়লেও সেগুলি আকারে খুবই ছোট। তাই এবারের ভাইফোঁটায় ভাইয়ের পাতে ইলিশের টুকরো উঠবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৎস্যজীবীদের জীবিকায় বড় প্রভাব পড়েছে। উৎসবের সময় ইলিশের এই অভাব নিয়ে শুধু বাজারই নয়, অনেকের মনেও হতাশা তৈরি হয়েছে।