Home খবর রাজ্য রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম, তবে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন

রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম, তবে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কোথায় আছড়ে পড়তে পারে আর রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়তে পারে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস তাতে বাংলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমনকী, রেহাই মিলতে পারে সুন্দরবন, সাগর পাড়ের এলাকাগুলির। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সোমবার নিম্নচাপ তৈরি হবে। মঙ্গলবার সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার জানান, আপাতত আন্দামান সাগর মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অবশ্য গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার অভিমুখ কোন দিকে হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত সুন্দরবন কিংবা সাগরদ্বীপে এই দুর্যোগের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে রাজ্য। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে মক ড্রিল শুরু করেছে প্রশাসন। প্রস্তুত লালবাজারও। কলকাতা পুলিশের তরফে খোলা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম। সেখানে থাকবে বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগের ব্যবস্থা। চালু হয়েছে বেশ কিছু নম্বর। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, বিল্ডিং বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুম নম্বর হল ২২৮৬-১২১২-১৩১৩-১৪১৪ । রবিবার থেকে লালবাজারেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। তার নাম রাখা হয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম। আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে এই কন্ট্রোলরুম। এখানে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে একাধিক বিভাগ। লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার একজন কর্মীও। লালবাজারের কন্ট্রোলরুমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হল – ৯৪৩২৬১০৪৫০। ল্যান্ডলাইন নম্বর -২২১৪-১৮৯০, ২২৫০-৫৩৩, ২২৫০-৫০৪৪, ২২৫০-৫১৪৬।

সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যাঁরা গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের সোমবার রাতের মধ্যেই ফিরে আসার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আমফান, ২০২১ সালে ইয়াস আছড়ে পড়েছিল রাজ্যে। আমফানের তাণ্ডবে উপকূলবর্তী জেলার পাশাপাশি লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। বহু জায়গায় গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়েছিল শহর। প্রায় এক সপ্তাহ বিদ্যুৎহীন ছিল কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। তার জেরে তৈরি হয়েছিল দুর্বিষহ পরিস্থিতি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version