আবহাওয়ার পূর্বাভাস একেবারেই মিলে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ফলে মরশুমের একদম শুরুতেই জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের একাধিক এলাকায়। যদিও আবহাওয়াবিদদের মতে, এখনই বড়সড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পরিমাণ (মিলিমিটারে):
- খরিদ্বার গ্রাম (পুরুলিয়া) – ২১০ মিমি
- মুকুটমনিপুর (বাঁকুড়া) – ১৯০ মিমি
- শিমুলা (পুরুলিয়া) – ১৮০ মিমি
- ফুলবেড়িয়া (পুরুলিয়া) – ১৮০ মিমি
- গোপীবল্লভপুর (ঝাড়গ্রাম) – ১৮০ মিমি
- টুসুমা (পুরুলিয়া) – ১৭০ মিমি
- লালগড় (ঝাড়গ্রাম) – ১৬০ মিমি
- পুরুলিয়া শহর – ১৪৫ মিমি
- বাঁকুড়া শহর – ১৪১ মিমি
- ঝাড়গ্রাম শহর – ১০৫ মিমি
এই পরিমাণ বৃষ্টি সাধারণত বর্ষার মধ্যভাগে দেখা যায়। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি সময়েই এতটা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে জনজীবন।
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার কিছু নিচু এলাকায় ইতিমধ্যেই জল জমে গিয়েছে। নালার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। ঝাড়গ্রামের গ্রামাঞ্চলেও কিছু জায়গায় কাঁচা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর মিলেছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, কাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে এবং রাজ্যের সর্বত্র রোদের দেখা মিলতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ ২২ এবং ২৫ জুন আবারও একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
কেন এই বৃষ্টি?
একটি নিম্নচাপের অক্ষরেখা পশ্চিমাঞ্চল হয়ে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত, যার জেরে এই অঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এখনই বন্যার মত পরিস্থিতি তৈরি না হলেও বৃষ্টির ধারা যদি এইভাবে টানা কয়েকদিন চলে, তাহলে জলস্তর দ্রুত বাড়তে পারে।