বুধবার মাঝ রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একদল বহিরাগত। ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে নিমিষের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। ভাঙচুর করা হয় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ।
আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি আরজি কর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। ৩০ থেকে ৪০ জনের যুবকের একটি দল এই ভাঙচুর চালায় বলে জানা গেছে। বহিরাগতরা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ঢুকে ভাঙচুর করে, ভেতরে থাকা সম্পত্তির ক্ষতি করে। তাদের তুলনায় সংখ্যায় কম হওয়ায় সেখানে মোতায়েন পুলিশ বাহিনী হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ।
বহিরাগতদের তাণ্ডব এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, পুলিশকর্মী, নার্সদের প্রাণভয়ে পালিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ভাঙচুর করা হয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। ছবি তুলতেও বারণ করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে র্যাফ। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল বহিরাগত। বেধড়ক মারধর করা হয় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের।
দুষ্কৃতীদের মারমুখী মেজাজের সামনে ভয় পেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকেও। বাইরে থাকা ব্যারিকেড ভাঙার পাশাপাশি উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায় পুলিশকেও। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, ‘‘যারা এই কাজ করেছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ক্রুদ্ধ।’’