এগরার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্ত পুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দত্তপুকুরের ওই বাজি কারখানাটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগে বাজি কারখানাটি বেআইনি ভাবে চলছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পৌঁছয় দমকলও। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের মদতে এই বাজি কারখানাটি চলছিল। কারখানায় একাধিক জায়গায় বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ছিল।’
আরও পড়ুন: বারাণসী-কলকাতা করিডর প্রকল্পের জন্য তৎপরতা শুরু রাজ্যের
গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় বেআইনি বাজি উদ্ধার অভিযান। একই সঙ্গে বাজি ক্লাস্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এগরার সাড়ে তিনমাস কাটতে না কাটতেই দত্তপুকুরে এই বিস্ফোরণ প্রশ্ন তুলে দিল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।