রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের নতুন উদ্যোগে এবার ঘরে বসেই মিলবে বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট। স্থায়ী বাসিন্দা, আয়ের সার্টিফিকেট সহ ছ’রকমের সার্টিফিকেটের জন্য আর পঞ্চায়েতে ঘুরতে হবে না। মোবাইল থেকেই সরাসরি আবেদন করা যাবে। পঞ্চায়েত দপ্তরের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ আনা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত দপ্তর একটি সার্কুলারে জানিয়েছে, পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ ধাপে ধাপে অনলাইনে করা হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকবে। আগে সার্টিফিকেট পেতে গ্রামীণ মানুষের হন্যে হয়ে পঞ্চায়েতে ঘুরতে হত। এবার সেই সমস্যার সমাধান হবে।
কয়েক দিন আগে রায়নার গোতানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েতকে স্মার্ট করা হবে। বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে জোর দেওয়া হবে। পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ কাজই অনলাইনে হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন অ্যাপ চালুর পর গ্রামীণ বাসিন্দারা ঘরে বসেই মোবাইল থেকে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে কাজ করার দক্ষতা না থাকলে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে সহায়তা নেওয়া যাবে। বর্তমানে প্রতিটি জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে।
অনলাইনে আবেদন করলে টাকার দাবি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আগে অনেক সময় সার্টিফিকেট পেতে ঘুষের অভিযোগ উঠত। তবে এবার সেই সমস্যা সমাধানে জোর দিয়েছে প্রশাসন। অনলাইনে আবেদন করার সাত দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট না পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানানো যাবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই প্রতিটি পঞ্চায়েতে অনলাইন পরিষেবা চালু হবে। কাজের স্বচ্ছতা এবং গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও দ্রুত পরিষেবা পাবেন। অনলাইনে ট্যাক্স দেওয়ার সুবিধাও থাকবে, যা বর্তমানে পুরসভাগুলিতে চালু রয়েছে।
সরকারি কর্মীদের অনলাইন কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং পঞ্চায়েতগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের কাজের গতি বাড়াতে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রশাসনিক মহল।