রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর এবার পঞ্চায়েত স্তরেও অনলাইনে সম্পত্তিকর আদায়ের প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে। পুরসভাগুলির অনুকরণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বছরের শুরু থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন পঞ্চায়েত দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা। কোন গ্রামীণ এলাকায় কী ধরনের পরিকাঠামো প্রয়োজন, সেই নিয়ে ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসগুলির পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত এগোচ্ছে।
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের পুরসভাগুলির মতোই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসগুলিতে অনলাইনে সম্পত্তিকর আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই পরিকাঠামো গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা গ্রামীণ প্রশাসন থেকে সরাসরি কর আদায়ের ব্যবস্থাও করবে। বর্তমানে কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে এই পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইউপিআই নির্ভর লেনদেন পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে সম্পত্তিকর জমা দিতে পারবেন। পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের মতে, রাজ্যের প্রায় সাত কোটি মানুষ এই নতুন পদ্ধতি চালু হলে উপকৃত হবেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যান-সহ বিভিন্ন কাজ অনলাইনে হয়, কিন্তু সম্পত্তিকর আদায় এখনও অফলাইনে করা হয়। এবার সেই ব্যবস্থাও অনলাইনে রূপান্তরিত হচ্ছে।
নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “নতুন নিয়মটি চালু হলে পঞ্চায়েত দফতর কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পত্তিকর সংগ্রহের উপর নজরদারি চালাতে পারবে। এতে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। রাজ্য সরকার অনলাইন পদ্ধতিকে অধিকতর সুবিধাজনক মনে করছে, তাই এই ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে।”
টেলিমেডিসিন পরিষেবায় দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
এছাড়া, গ্রামীণ জনতাকে সম্পত্তিকর অনলাইনে প্রদান করতে তিন কিস্তিতে কর দেওয়ার সুবিধাও দেওয়া হবে, যাতে দ্রুত এই নতুন পরিষেবা জনপ্রিয় হয় পঞ্চায়েত স্তরে।