প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন ব্যবসায়ী অয়ন শীল। এর আগে ইডির মামলাতেও জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তবে এখনও পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার থাকায় তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না।
শুক্রবার কলকাতার বিচারভবনে মামলার শুনানি হয়। এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অয়নের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এই নিয়ে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় পঞ্চম জামিন হল। এর আগে নীলাদ্রি দাস, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জামিন পেয়েছেন।
২০২৩ সালের মার্চে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, আটজন এজেন্টের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। এই অর্থ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে চাকরির বিনিময়ে লেনদেন হতো।
প্রাথমিকের তদন্তের সূত্র ধরেই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে এবং ১,৮২৯ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ইডির দাবি, পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি চালানোর জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে টাকা দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করার আলোচনা চলত। অয়নের বাড়ি ও অফিস থেকে এমন একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে, যা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেয়।
ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অয়নের বিরুদ্ধে থাকা পুরসভা দুর্নীতির মামলায় বিচার চলবে।