দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। এ বছর দুর্গাপুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে পড়বে বাংলাদেশের ইলিশ। প্রায় তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
ভারতের ‘ফিশ ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুজোর জন্য বাংলাদেশ থেকে ইলিশ চলে আসে। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইলিশ রফতানি বন্ধ রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুজোর উৎসবকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, যাঁরা ইতিমধ্যেই মাছ আমদানি করার জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে নতুনভাবে যাঁরা আমদানির জন্য আবেদন করতে চান, তাঁদের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন বায়ুসেনা প্রধান হচ্ছেন অমর প্রীত সিং, জানেন কি তিনি কে
‘ফিশ ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, “মাছ আসছে নিশ্চিত, তবে মাছের দাম কতটা কমবে বা বাড়বে তা বলা কঠিন। ইলিশের দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। যদি পরিমাণে বেশি ইলিশ আসে, তবে দাম কিছুটা কমবে, অন্যথায় দাম বেশিই থাকবে।”
এ বছরের শুরুতে ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকে চিঠি পাঠায় এই সংগঠন। কিন্তু সেই চিঠির জবাবে বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দুঃখপ্রকাশ করে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই, তবে এ বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে আমরা ইলিশ রফতানি করতে পারব না। বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম এবং সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, তাই দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে আমরা ইলিশ রফতানি করতে পারব না।”
বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্তে অনড় ছিল এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর গুরুত্ব দিয়েছিল। তবে ভারত ও বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, শেষমেশ তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হলো।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল, এ বছর পুজোর মরশুমে বাঙালির পাতে ইলিশ উঠবে না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া বয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে। ইলিশ প্রিয় বাঙালিরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে বাজারে আসবে এই বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশি ইলি