Home খবর রাজ্য বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা! দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন...

বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা! দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক

বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা! দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল
বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা! দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোমবার থেকে সেখানে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাংসদরা।

তাঁদের অভিযোগ, বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও বাংলা ভাষাভাষীদের আটক করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, সুখেন্দুশেখর রায় ও সাকেত গোখলে দিল্লিতে ধর্না শুরু করেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত চলবে এই ধর্না।

দোলা সেন জানিয়েছেন, জয়হিন্দ কলোনির বাংলাভাষী বাসিন্দারাও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সাহসের সঙ্গে।
রবিবার ওই এলাকার পরিদর্শনে যান তৃণমূলের একাধিক সাংসদ।
তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও আশ্বাস দেন, “এই অপমানের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”

 কলকাতাতেও প্রতিবাদে নামছে তৃণমূল

এই ইস্যুতে ১৬ জুলাই কলকাতার রাস্তায় নামছে তৃণমূল। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হবে প্রতিবাদ মিছিল, নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন: বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলা প্রাক্তন মিস পুদুচেরি সান রেচালের রহস্যমৃত্যু, আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক অনুমান

এই মিছিলে অংশ নেবেন হাওড়া, ভাঙড়, দমদম, সল্টলেক-সহ বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল সমর্থকেরা।
একই দিনে জেলার জেলাতেও দুপুর ২টো থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

 CAA নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক

এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাঁরা CAA-তে আবেদন করুন। যদি বাংলাদেশের কোনও কাগজপত্র থাকে, ঠাকুরবাড়িতে জমা দিন, আমরা আবেদন করিয়ে দেব।”

কেন হঠাৎ এমন কথা বললেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “সরকার ধরপাকড় শুরু করেছে। প্রচুর বাংলাদেশি অবৈধভাবে রয়েছে। তাই CAA দরকার।

 মতুয়াদের মধ্যে বিভাজন

তবে শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্যে সহমত নন অনেক মতুয়া নেতা।মতুয়া মহাসংঘের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, “মানুষ শুনছে না বলেই মন্ত্রীকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে হচ্ছে। মতুয়া উদ্বাস্তুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা রাখছেন।”তাঁর কটাক্ষ, “ব্যক্তিগত ব্যবসা বাড়ানোর জন্যই শান্তনু এসব করছেন।

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাজ্য কোনও ‘ধর্মশালা’ নয়। যদি আপনি যখন খুশি আমার রাজ্যে আসতে চান, তাহলে তা সহ্য করা হবে না।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version