মুম্বইয়ের স্কুল ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম প্রতিভাবান দুই খেলোয়াড় হিসেবে সবসময়ই আলোচনায় চলে আসেন সচিন তেন্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি। ১৯৮৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে শারদাশ্রম বিদ্যালয়ের হয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সের বিপক্ষে ৬৬৪ রানের এক ঐতিহাসিক জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। সেই পার্টনারশিপ ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোড়ন তুলেছিল এবং দুজনকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে চলে আসে।
সচিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু কাম্বলিকে অপেক্ষা করতে হয় আরও কিছুদিন। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে, ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
প্রথম দিকে কাম্বলি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। তিনি ভারতের হয়ে ১৭টি টেস্ট ও ১০৪টি ওয়ানডে খেলেন। কিন্তু ভাগ্যের প্রতিকূলতায় তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কটকে তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ এবং ২০০০ সালের অক্টোবরে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর তিনি আর কখনও ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি। অন্য দিকে, সচিন তেন্ডুলকরের নাম ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে যায়।
কাম্বলির কেরিয়ার ও সচিনের উত্থান পরস্পরবিরোধী দুই পথে চলে যাওয়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাম্বলি সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
বিনোদ কাম্বলি বলেন, “সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল সচিন আমাকে সাহায্য করেনি। আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সচিন আমার জন্য সবই করেছে। ২০১৩ সালে আমার দুটি অস্ত্রোপচারের খরচও সে দিয়েছে। আমরা কথা বলেছি এবং শৈশবের সেই বন্ধুত্ব ফিরে এসেছে।”
কাম্বলি আরও জানান, তাঁর খেলায় উন্নতির পিছনে সচিনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, “সচিন আমাকে খেলায় কী ভাবে উন্নতি করতে হবে তা বলত। আমি ভারতীয় দলে ৯ বার কামব্যাক করেছি। আমরা ক্রিকেটার, আমরা আঘাত পাই। আউট হলে আমাদের খারাপ লাগে।”
৫২ বছর বয়সি কাম্বলি তাঁদের শৈশবের সেই বন্ধুত্ব এবং সচিনের অবদানকে গভীর কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। খেলোয়াড় জীবনে পথচলা ভিন্ন হয়ে গেলেও তাঁদের বন্ধুত্ব আজও স্মরণীয়।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ‘টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা’ দৌড়ের তারকা-অ্যাথলিটরা