চেন্নাইয়িন এফসি: ২ (পিসি লালদিনপুইয়া, লুকাস পিভেত্তা ব্র্যামবিল্লা)
মহমেডান এসসি: ২ (মনবীর সিং, লালরেমসাঙ্গা ফানাই)
কলকাতা: ম্যাচ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়ে গিয়েছে। চেন্নাইয়িন এফসি-র সমর্থকরা দু’ গোলে জয় নিয়ে নিশ্চিন্ত। মহমেডান সমর্থকরা মন খারাপ করে মাঠ ছাড়তে উদ্যত হয়েছেন। ঠিক সেই সময়েই একটা গোল শোধ। এর পরেও কাহিনি বাকি আছে। ১২ মিনিটে গড়িয়ে গেল অতিরিক্ত সময়। ঠিক সেই সময়ে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে আর একটা গোল।
এ-ও হয়! সারাটা ম্যাচ দারুণ খেলে এল চেন্নাই। আর মহমেডানের পারফরম্যান্স একেবারে হতাশাজনক। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষ ১০ মিনিটে দুর্দান্ত লড়াই লড়ে চেন্নাইয়ের অবধারিত জয় ঠেকিয়ে দিল মহমেডান। কলকাতার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে অবিশ্বাস্য ভাবে প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়ে ১টা পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল তারা। ১৬ ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মহমেডান থাকল লিগ টেবিলের দ্বাদশ স্থানে। আর চেনাই সমসংখ্যক খেলায় ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে থাকল দ্বাদশ স্থানে। টানা চার ম্যাচে অপরাজিত রইল মহমেডান এসসি।
চেন্নাইয়ের দুটি গোল
প্রথমার্ধের ১০ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় চেন্নাই। ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় চেন্নাই। প্রথম পোস্টের সামনে বল রাখেন কোনর শিল্ডস। পিসি লালদিনপুইয়া ছিলেন সম্পুর্ণ অরক্ষিত। সেই বল হেড দিয়ে মহমেডানের জালে জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে চেন্নাই।

গোল করার পরে লালরেমসাঙ্গা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার চার মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ায় চেন্নাই। কোনর শিল্ডসের থ্রু থেকে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে মহমেডানের বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলে বল ঢুকিয়ে দেন ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার লুকাস পিভেত্তা ব্র্যামবিল্লা। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৩ পয়েন্ট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে চেন্নাই।
সমতা আনল মহমেডান
কিন্তু তখন কি কেউ বুঝতে পেরেছিল কত বড়ো অঘটন ঘটতে চলেছে। চেন্নাই তখন যখন বেশ গা-ছাড়া। হঠাৎ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে মহমেডান। অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটে চেন্নাইয়ের বক্সের ডান দিক থেকে মনবীরকে বল পাঠান পরিবর্ত খেলোয়াড় মকান চোথে। বক্সের মধ্যে সেই বল পেয়ে গোলের দিকে ঘুরে গিয়ে শট নেন মনবীর। বল দ্বিতীয় পোস্টের দিক দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। ম্যাচের ফল দাঁড়ায় ২-১।
আরও সাত মিনিট সময় আছে দেখে ম্যাচে সমতা আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাদা-কালো বাহিনী। একেবারে শেষ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ফের গোলে শট নিতে যান মনবীর। কিন্তু তাঁকে পিছন থেকে তাঁর পায়ে আঘাত করেন লালদিনপুইয়া। এর ফলে তাঁকে লাল কার্ড দেখে তাঁকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। আর মহমেডান পেয়ে যায় পেনাল্টি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কোনো ভুল করেননি লালরেমসাঙ্গা ফানাই। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি।
ছবি: সঞ্জয় হাজরা