Home খেলাধুলো ফুটবল ১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি

১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি

0
ছবি: সঞ্জয় হাজরা।

মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ২ ( কামিংস, সাদিকু) এফসি গোয়া (নোহা)

কলকাতা: এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না এফসি গোয়া। ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-এর কাছে তারা ১-২ গোলে হেরে গেল। এ বার ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। ২০০৪-এর পরে আবার কলকাতার দুই প্রধান ডুরান্ড ফাইনালে মুখোমুখি হবে। রবিবার ফাইনালের খেলা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কলকাতা ডার্বি হবে এ বারের ডুরান্ডে। এর আগের ডার্বিতে গ্রুপ লিগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগানকে।

প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দুই দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড জিতেছে। ডুরান্ড ফাইনালে আবার মুখোমুখি দুই দল। ডুরান্ড কাপ জয়ের নিরিখে এ বার কেউ এক জন এগিয়ে যাবে। ২০০৪ সালে শেষ বার ডুরান্ড জেতে ইস্টবেঙ্গল। শেষ বার মোহনবাগান ডুরান্ড জিতেছে ১৯৯৯-২০০০ সালে।

প্রথমার্ধে ১-১

এ দিন ম্যাচের শুরুতে মোহনবাগানের রক্ষণভাগে ঝাঁপিয়ে পড়ে এফসি গোয়া। ম্যাচের ৪ মিনিটেই তারা কর্নার পেয়ে যায়। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচ একটু গড়াতে আক্রমণে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোয়ার রক্ষণভাগে তেমন ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেনি। এরই মধ্যে ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল করার সুযোগ পায় মোহনবাগান। আশিকের ক্রসে প্রায় পা লাগিয়ে ফেলেছিলেন জেসন কামিংস। কিন্তু গোয়ার রক্ষণের খেলোয়াড় ঠিক সময়ে এসে দলকে বিপন্মুক্ত করে।

জয়ের পরে সমর্থকদের উল্লাস।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। হুগো বৌমৌসের ভুলের খেসারত দিল মোহনবাগান। তাঁর ভুল ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে যান গোয়ার নোহা সদাউই। মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দিতে তিনি কোনো ভুলচুক করেননি। গোল করে আরও মারমুখী হয়ে ওঠে গোয়া। ৩২ মিনিটে একটা ক্রসে হেড দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন নোহা। কিন্তু তিনি মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।

আবার নোহা সদাউই। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোয়া প্রায় দ্বিতীয় গোল করে ফেলেছিল। মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে নেওয়া নোহার শট একেবারে গোললাইন থেকে বাঁচান মোহনবাগানের রক্ষণের খেলোয়াড়।

ম্যাচের ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বাধায় আশিক কুরুনিয়ান পড়ে যান। রেফারি ফ্রি-কিক দেন। কিন্তু তাঁর সহকারী বলেন গোয়ার বক্সের মধ্যেই ফাউল হয়েছে। রেফারি পেনাল্টি দিলে গোয়া তীব্র প্রতিবাদ করে, বিশেষ করে ভিক্টর রডরিগেজ। যাই হোক, সেই বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেসন কামিংস। প্রথমার্ধে ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের জয়সূচক গোল

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার গোয়া আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৪৭ মিনিটে নোহার শট বাঁচিয়ে দেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। এ বার মোহনবাগান পালটা আক্রমণে যায়। এ ভাবেই সমানে সমানে খেলা চলতে থাকে। এই অবস্থাতেই ৬১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান।

গোয়ার ঝিঙ্গানের ভুলে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান মোহনবাগানের সাদিকু। গোয়ার রক্ষণের দু-একজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন সাদিকু। গোয়ার গোলকিপার ধীরাজ ঝাঁপ দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বল গোয়ার জালে জড়িয়ে যায়। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।

এর পরে গোয়া আপ্রাণ চেষ্টা করে ম্যাচে সমতা আনার। মোহনবাগানও চেষ্টা করে লিড বাড়ানো। কিন্তু কোনো পক্ষই সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে।             

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version