রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬৯-৮ (লিয়াম লিভিংস্টোন ৫৪, জিতেশ শর্মা ৩৩, মহম্মদ সিরাজ ৩-১৯, সাই কিশোর ২-২২)
গুজরাত টাইটান্স: ১৭০-২ (১৭.৫ ওভার) (জোস বাটলার ৭৩ নট আউট, সাই সুদর্শন ৪৯, ভুবনেশ্বর কুমার ১-২৩)
বেঙ্গালুরু: গুজরাত টাইটান্স-এর বোলারদের সামলাতেই পারলেন না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের রাস্তা খুলে দিলেন মূলত মহম্মদ সিরাজ এবং সাই কিশোর। তাঁদের পাশে ছিলেন আর্শাদ খান, ইশান্ত শর্মা এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে শেষ হয়ে গেল বেঙ্গালুরুর ইনিংস। গুজরাত জয়ের রান তুলে নিল জোস বাটলার আর সাই সুদর্শনের ব্যাটে ভর করে। ১৩ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে গুজরাত তুলে নেয় ১৭০ রান। ৮ উইকেটে জিতে যায় তারা। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন মহম্মদ সিরাজ।
শুরুতেই ধাক্কা বেঙ্গালুরুর, হতাশা করলেন কোহলি
বুধবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে আরসিবি-কে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাত। শুরুতেই ধাক্কা। দলের ৮ রানেই আর্শাদ খানের বলে প্রসিধ কৃষ্ণকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বিরাট কোহলি (৬ বলে ৭ রান)। দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে আরসিবি-র। ৪২ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট। এর মধ্যে তুলে নেন দেবদত্ত পড়িক্কল ও ফিল সল্টকে। লিয়াম লিভিংস্টোন ও জিতেশ শর্মা কিছুটা চেষ্টা করেন পতন ঠেকানোর। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৫২ রান। দলের ৯৪ রানে জিতেশ শর্মা (২১ বলে ৩৩ রান) তুলে নেন সাই কিশোর। এর পর সপ্তম উইকেট লিভিংস্টোনের সঙ্গী হন টিম ডেভিড। তাঁরা দুজনে যোগ করেন ৪৬ রান। দলের ১৫০ রানে সিরাজের শিকার হন লিভিংস্টোন (৪০ বলে ৫৪ রান)। ইনিংসের একদম শেষ বলে প্রসিধ কৃষ্ণ বোল্ড করেন ডেভিডকে (১৮ বলে ৩২ রান)।

জয়ের পথ প্রশস্ত করলেন সাই কিশোর (বাঁ দিকে) এবং মহম্মদ সিরাজ। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
ভিত গড়লেন সুদর্শন, সমাধা করলেন বাটলার-রাদারফোর্ড
জয়ের জন্য গুজরাতের দরকার ছিল ১৭০ রান। তারা ঠিক সেই রানটাই করে ২টি উইকেট হারিয়ে। ১৪ বলে ১৪ রান করে অধিনায়ক শুভমন গিল ফিরে যান ভুবনেশ্বর কুমারের বলে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দিয়ে। এবার ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার সাই সুদর্শন এবং জোস বাটলার। তাঁরা এমন আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন যে যেন বোঝাই যাচ্ছিল জয় গুজরাতের হাতের মুঠোয়। দলের ১০৭ রানে সুদর্শন (৩৬ বলে ৪৯ রান) জোশ হ্যাজলউডের বলে জিতেশ শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ার পর বাটলারের (৩৯ বলে ৭৩ রান, ৬টা ছয়, ৫টা চার) সঙ্গে জুটি বেঁধে বাকি কাজ সমাধা করেন শেরফেন রাদারফোর্ড (১৮ বলে ৩০ রান)। দুজনেই নট আউট থাকেন। গুজরাত জিতে যায় ৮ উইকেটে।
এ দিনের ম্যাচের পরে বেঙ্গালুরু আর গুজরাত ৩টি করে ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করল। নেট রানরেটের ভিত্তিতে আইপিএল-এর টেবিলে বেঙ্গালুরু থাকল তৃতীয় স্থানে এবং গুজরাত চতুর্থ স্থানে।