কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০০/৫ (জেসন-৫৬, নীতীশ-৪৮, হাসারাঙ্গা-২৪/২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৭৯/৮ (কোহলি-৫৪, বরুণ-২৭/৩)
এ বারের আইপিএল-এ নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে আইপিএল-এর তৃতীয় জয় পেল কেকেআর। এর ফলে পয়েন্ট তালিকাতেও নিজেদের অবস্থান কিছুটা উন্নতি করল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০০ তোলে নাইট রাইডার্স। জবাবে ৮ উইকেটে ১৭৯ রান তুলতে সমর্থ হয় আরসিবি।
বুধবার ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। কেকেআরের হয়ে জেসন রয় ও নারায়ণ জগদীশন প্রথম উইকেটে ৮৩ রান করেন। জগদীশনকে ২৭ রানে ফেরান বিজয়কুমার। জগদীশন ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আউট হন জেসন রয়। বিজয়কুমারেরই শিকার তিনি। ২৯ বলে ৫৬ রান করেন জেসন। কিন্তু যেভাবে উইকেট ছুঁড়ে দেন, তাতে নিজের উপরই তিনি অসন্তুষ্ট হন। দ্রুত দুই উইকেট খোয়ানোর পরে নীতীশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২১ বলে ৪৮ করেন রানা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৬ বলে ৩১ রান করেন। দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান হাসারাঙ্গা। শেষের দিকে রিঙ্কু সিং (১৮) ও ডেভিড ওয়েইজ (১২) কেকেআর-কে ২০০ রানে পৌঁছে দেন।
জয়ের জন্য ২০১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল আরসিবি। রান তাড়া করতে নেমে ফ্যাফ ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলি দ্রুতগতিতেই রান তুলছিলেন। কিন্তু ৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন ডু প্লেসি। আরসিবির রান তখন ৩১। এর পর শাহবাজ আহমেদও (২), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫) ফের ব্যর্থ। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারের মধ্যে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এর পর মাহিপাল লোমরোরকে (৩৪) এবং হাফ সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি (৫৪)। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ব্যাঙ্গালোর। দীনেশ কার্তিক ও সুয়াশ প্রভুদেশাই ২২ রান জোড়েন। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন প্রভুদেশাই (১০)। ম্যাচ হাতের বাইরে আগেই চলে গিয়েছিল। আরসিবি শেষ পর্যন্ত করে ১৭৯ রান।
আরসিবির পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও বিজয় কুমার ভিশাক ২টি করে উইকেট নেন। কলকাতার হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২টি করে উইকেট নেন সূয়শ শর্মা ও আন্দ্রে রাসেল।
বলে রাখা ভালো, বুধবারের ফলাফলের সঙ্গেই আইপিএল-এ জয়ের রাস্তা ফিরল কলকাতা। টানা চার ম্যাচে হারের পর জিতল কলকাতা। প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ আরসিবি। এ বারের আইপিএল-এ তাদের দু’বার হারাল কলকাতা।