লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২৩৮-৩ (নিকোলাস পুরান ৮৭ নট আউট, মিচেল মার্শ ৮১, আইডেন মার্করাম ৪৭, হর্ষিত রানা ২-৫১)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২৩৪-৭ (অজিঙ্ক রাহানে ৬১, বেঙ্কটেশ আইয়ার ৪৫, রিঙ্কু সিংহ ৩৮ নট আউট, শার্দূল ঠাকুর ২-৫২)
কলকাতা: পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শ, আইডেন মার্করামের ঝড়ের পাল্টা ঝড় তুলেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে, বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিংহেরা। কিন্তু পারলেন না। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪ রান হার মানতে হল কলকাতাকে।
মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠায় কেকেআর। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্বব্যহার করে লখনউ। শুরু থেকেই ঝড় তোলে তারা। আইডেন মার্করাম ও মিচেল মার্শের ওপেনিং জুটি ১০.২ ওভারে তোলে ৮৯। ২৮ বলে ৪৭ করে হর্ষিত রানার বলে বোল্ড হয়ে মার্করাম প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও রান-ঝড়ে কোনো ছেদ পড়েনি। বরং আরও বেড়ে যায়। মার্শের সঙ্গী হন নিকোলাস পুরান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে মাত্র ৫ ওভারে ওঠে ৮১ রান। ৪৮ বলে ৮১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন মার্শ।
এবার ব্যাটে ঝড় চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন পুরান। হর্ষিতের বলে বোল্ড হয়ে আবদুল সামাদ ৪ বলে ৬ রান করে ফিরে গেলেও ঝড় থামাননি পুরান। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৮৭ রান করে নট আউট থাকেন পুরান। তাঁর ৮৭ রানে ছিল ৮টা ছয়, ৭টা চার। লখনউ করে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান।

জয়ের জন্য কেকেআর-এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৯। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে তো কেকেআর-কে পাল্টা ঝড় তুলতেই হবে। কুইন্টন ডি কক আর সুনীল নারাইন করেনও তা-ই। মাত্র ২.৩ ওভারে তোলেন ৩৭ রান। ৯ বলে ১৫ করে আকাশদীপের বলে ডিকক ফিরে যেতে নারাইনের সঙ্গী হন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ব্যাটিং ঝড় চলতে থাকে। তবে ঝড় চলার মাঝেই কেকেআর-এর দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ১৩ বলে ৩০ করে ফিরে গেলেন নারাইন। অজিঙ্কার সঙ্গী হন বেঙ্কটেশ আইয়ার।
১০ ওভারে কেকেআর তোলে ২ উইকেটে ১২৯। জয় ১১০ রান দূরে, হাতে আরও ১০ ওভার। পাল্টা ঝড় চালিয়ে যান রাহানে ও বেঙ্কটেশ। শেষ পর্যন্ত দলের ১৬২ রানের মাথায় শার্দূল ঠাকুরের বলে পুরানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অধিনায়ক রাহানে। ৩৫ বলে তিনি করেন ৬১ রান। বেঙ্কটেশের সঙ্গী হন রমনদীপ সিংহ। কিন্তু তিনি দ্রুত ফিরে যান। নামেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। কিন্তু তিনিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেন।
এর পরই বড়ো ধাক্কা খায় কেকেআর। বেঙ্কটেশ আয়ারকে তুলে নেন আকাশ দীপ। ২৯ বলে ৪৫ রান করে যখন ফিরে যান বেঙ্কটেশ, দল তখনও জয় থেকে ৬২ রান দূরে। হাতে ২৮ বল। দায়িত্ব বর্তায় রিঙ্কু সিংহ ও আন্দ্রে রাসেলের উপর। কিন্তু শার্দূলের বলে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাসেল। আসেন হর্ষিত রানা।
জয় তখনও ৫৪ রান দূরে। হাতে ২৩ বল। ব্যাট হাতে রিঙ্কু আর হর্ষিত। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেছিলেন রিঙ্কু। নট আউট থেকে ১৫ বলে করলেন ৩৮ রান। কিন্তু দলের জন্য জয় আনতে পারলেন না। কেকেআর-কে হারতে হল ৪ রানে।
এ বারের লিগে ৫ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট তুলে এলএসজি থাকল চতুর্থ স্থানে। সমসংখ্যক খেলায় ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কেকেআর থাকল ষষ্ঠ স্থানে।