আসন্ন বাজেট ২০২৫-কে ঘিরে প্রত্যাশা তুঙ্গে। ক্রমহ্রাসমান জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের উপর নির্ভর করছেন দেশবাসী। এ বারের বাজেট দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ক্ষেত্রগুলিকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. আয়করে ছাড়
আয়করের ছাড়ের সীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। এর ফলে মধ্যবিত্তদের হাতে বাড়তি অর্থ থাকবে, যা ভোগব্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে এবং অর্থনৈতিক কাজকর্মকে ত্বরান্বিত করবে। চলমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
২. জ্বালানির আবগারি শুল্ক হ্রাস
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও দেশে জ্বালানির দাম বাড়তি আবগারি শুল্কের জন্য কমেনি। শুল্ক হ্রাসের ফলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমবে এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির উপর আর্থিক বোঝা হালকা হবে।
৩. কর্মসংস্থান-ভিত্তিক শিল্পে সমর্থন
বেকারত্ব দূর করতে পোশাক, চামড়ার জুতো, পর্যটন এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পগুলিকে উৎসাহিত করার প্রস্তাব উঠেছে। এই শিল্পগুলিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব। এতে বিশ্ববাজারে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী করা যাবে।
৪. গ্রামীণ ভোগব্যয় বাড়ানো
গ্রামাঞ্চলে চাহিদা বাড়াতে কর্মসংস্থান প্রকল্পগুলির মজুরি বাড়ানো, সরাসরি আর্থিক সুবিধা স্থানান্তর এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য কুপন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে।
৫. চিনা পণ্যের আমদানি রোধ
চিনের অতিরিক্ত পণ্য আমদানি ভারতীয় শিল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষিত রাখতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যেমন ত্বরান্বিত হবে, তেমনই মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাসের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।