যে সমস্ত জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের উপর রিটার্ন দাখিল করা হচ্ছে না, সেগুলি বাতিল করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই বাতিলকরণ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানানোর সুবিধাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, এ রকম ক্ষেত্রে আবেদন জানানোর সময়সীমা রাখা হয়েছে আগামী ৩০ জুন।
এর জন্য কেন্দ্রীয় জিএসটি আইন সংশোধন করেছে অর্থমন্ত্রক। যে সমস্ত ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাতিল করা হয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে যেগুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাতিলকরণ প্রত্যাহারের আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এটা করার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।
কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার তারিখ পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী রিটার্ন দাখিল করলেই বাতিলের আবেদন করা যাবে। এ ছাড়াও, নিয়মানুযায়ী সুদ, জরিমানা এবং লেট ফি দিতে হবে।
জিএসটিআর-১০ নির্ধারিত তারিখে জমা করতে পারেননি,অর্থমন্ত্রকে রেজিস্টার্ড সংস্থাগুলির জন্য ১ হাজার টাকা লেট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন অনুসারে, যে করদাতারা নিজেদের জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান, তাঁদের জিএসটিআর-১০ ফাইল করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য এই রিটার্নটি তিন মাসের মধ্যে দাখিল করতে হয়।
এ ছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে বাতিল রদের জন্য আবেদন শুধুমাত্র ৩০ জুনের মধ্যে করা যাবে, পরবর্তীতে এই তারিখটি আর বাড়ানো হবে না। তা যাইহোক, সরকারের এই পদক্ষেপে স্বস্তি পাচ্ছেন একাংশের জিএসটি করদাতারা।
ফেব্রুয়ারিতে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত জিএসটি কাউন্সিল। বৈঠকে সুপারিশ করা হয়েছিল, এই ধরনের জিএসটি করদাতাদের জন্য (যাদের রেজিস্ট্রেশন রিটার্ন দাখিল না করার জন্য বাতিল করা হয়েছে) বাতিলকরণ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তারা যাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন জানাতে পারে, সেই পদক্ষেপই নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: এ বার পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পেও প্যান, আধার বাধ্যতামূলক, বিজ্ঞপ্তি অর্থমন্ত্রকের