সরকারি জিএসটি হ্রাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে। এই পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়েছে সোনা ও রুপোর বাজারে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন উঠছে—এখনই কি সোনা কেনার সঠিক সময়, নাকি আরও অপেক্ষা করা উচিত?
সোনার দামে প্রভাব
যদিও সোনার উপর জিএসটি আগের মতোই ৩ শতাংশ, এবং গয়না তৈরির চার্জে আগের মতোই ৫ শতাংশ কর বহাল থাকবে, তবুও অন্যান্য পণ্যে কর হ্রাসের কারণে বাজারে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগকারীদের পকেটে।
ফলে সোনার দাম কিছুটা নেমেছে। ৯ সেপ্টেম্বর, মাল্টি-কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ₹১,১০,০৪৭। এতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে দাম আরও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জিএসটি হ্রাসের ফলে সোনা কেনার ক্ষেত্রে নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা বেড়েছে, একই সঙ্গে গয়না সংস্থার বিক্রিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছিলেন, তাঁদের জন্য এখন সোনা ও রুপো কেনার সময় উপযুক্ত হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন—সোনা স্বল্পমেয়াদে ওঠা-নামা করলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁদের পরামর্শ, মোট বিনিয়োগের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সোনা রাখা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম কিছুটা কমেছে, ফলে এখনই সোনা কেনার সঠিক সময় হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘৮ বছর দেরিতে এল জিএসটি সংস্কার’— কেন্দ্রকে তোপ চিদম্বরম ও জয়রাম রমেশের