মধ্যবিত্ত শ্রেণির করদাতাদের সমস্যা ও চাহিদা নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গত বাজেটে আয়ের উপর করছাড়ের বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের পকেটে বাড়তি অর্থ রাখার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি মধ্যবিত্তের করছাড়ের দাবিকে সম্মান করি। আমি আরও কিছু করতে চাই, তবে কর ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই বেতনভোগী মানুষদের সুবিধার্থে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করা হয়েছে।”
এই পরিবর্তনের পাশাপাশি করের হারে সংশোধনের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত উভয়ের জন্য ধাপে ধাপে ছাড়ের সুবিধা রাখা হয়েছে।
আয়করের বড় পরিবর্তনের ভাবনা
এ বার ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করছাড়ের সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। যা শহরের উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপে থাকা লক্ষাধিক করদাতার জন্য উপকারী হতে পারে। বর্তমানে, ২০২০ সালের কর ব্যবস্থায় ৩ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কর ধার্য হয়। এর পর ১৫ লক্ষ টাকার উপরে উপার্জনকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ কর প্রযোজ্য।
এই নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, করদাতারা ঘরভাড়ার মতো ছাড় ছাড়াই এই কর ব্যবস্থার অধীনে সুবিধা পাবেন।
শিক্ষা ও সাশ্রয়ী হাউজিংয়ে জোর
সীতারমণ আরও জানান, “ছাত্রদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণে সুদে ভর্তুকি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য বিশেষ সুবিধা পরিবারের আর্থিক ভার লাঘবের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
মন্দার মোকাবিলায় করছাড়
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সঙ্গে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য বৃদ্ধি ভোক্তাদের ব্যয় সংকুচিত করেছে। গত দশকে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি আয়ের করদাতার সংখ্যা ৪৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণির আর্থিক চাপের প্রতিফলন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী বাজেটে সরকারের প্রধান লক্ষ্য করদাতাদের চাহিদা পূরণ, ভোগব্যয় বৃদ্ধি, এবং আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।