উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: সংকটে সুন্দরবন! চিন্তা বাড়ছে পরিবেশবিদদের। সুন্দরবনের পূর্বদিকের জঙ্গলে বাড়ছে ম্যানগ্রোভ। সেই তুলনায় পশ্চিমদিকের জঙ্গলে কমছে ম্যানগ্রোভ। আর এই ঘটনায় বিপদের আশঙ্কা করছেন সুন্দরবনের পরিবেশবিদ-সহ বিশেষজ্ঞরা।
ক্রমশ ছোট এবং পাতলা হয়ে আসছে ভারতীয় সুন্দরবনের অংশ। আর যার ফলে চিন্তা বাড়াছে পরিবেশবিদদের। পূর্বদিকের জঙ্গলের ম্যানগ্রোভগুলি বড় হচ্ছে। আর পশ্চিম দিকের গাছগুলি বেঁটে হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গোলপাতা, সুন্দরীর মতো ম্যানগ্রোভ গাছ পূর্বদিকে বাংলাদেশে বাড়ছে।
কাদামাটি-সহ পলি পড়ার ঘটনায় মিষ্টি জলের ধারা কমছে। আর যার ফলে ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে ভারতীয় সুন্দরবনের অংশ। কিন্তু কেন এমন ঘটছে।
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, শুধু মাত্র ভারতীয় সুন্দরবনের অংশে মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে অনেক প্রজাতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জল বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবন গড়ে উঠেছে নোনা ও মিষ্টি জলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা খাঁড়িগুলিতে।
পদ্মা ও মেঘনা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীগুলি থেকে মিষ্টি জল বেশি পরিমাণে পাচ্ছে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদগুলি। কিন্তু ভারতীয় সুন্দরবনের অংশে লবণাক্ততা বাড়ছে। ফলে প্রকৃতিগত কারণেই পূর্বদিকে দিকে সরছে সুন্দরবন।
এ ব্যাপারে পরিবেশবিদ তথা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য সুভাষচন্দ্র আচার্য বলেন, ভারতীয় সুন্দরবনের ভিতরের অনেক জায়গায় গাছের ঘনত্ব খুবই কমেছে। যা আগামীতে সুন্দরবনের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর এ নিয়ে এখন থেকে না ভাবলে আগামী দিনে সুন্দরবন সত্যিই সংকটে।