দীর্ঘ আন্দোলন, মামলার লড়াই ও আদালতের নির্দেশে অবশেষে নতুন রূপ পেল ডানকুনি খাল। অবৈধ খাটালের দখলমুক্ত করে প্রায় ১৮ কোটি টাকার প্রকল্পে খাল সংস্কার শুরু করেছে প্রশাসন। একসময় খালজুড়ে জমে থাকা গরু-মহিষের বর্জ্য খালকে স্থায়ীভাবে ভরাট করে রাখত। ফলে খাল থেকে জল বেরোতে না পেরে বর্ষাকালে আশপাশের পঞ্চায়েত ও পৌর এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিত।
ইস্টার্ন এনভায়রনমেন্ট কোর্টে অভিযোগ দায়ের এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর প্রায় ১০৪টি অবৈধ খাটাল উচ্ছেদের নির্দেশ আসে। প্রশাসন সেই নির্দেশ মেনে খাল পরিষ্কার করে তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দেয়। বর্তমানে খালের দুই ধারে মাটি সমতল করে সবুজায়ন ও পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য, এলাকাটিকে একটি সবুজ অঞ্চল বা গ্রিন জোনে পরিণত করা।
গত রবিবার খালের ধারে পরিবেশকর্মী, প্রাণীপ্রেমী, ডানকুনি পৌরসভার চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা-সহ বহু প্রকৃতিপ্রেমী একত্রিত হন। আলোচনায় Save Tree, Save World-এর সম্পাদক মাবুদ আলি, প্রাণীপ্রেমী সুরজিৎ সেন এবং সবুজ মঞ্চের হুগলি জেলা আহ্বায়ক গৌতম সরকার খালের সৌন্দর্যায়নের জন্য অতিরিক্ত পরিকল্পনার প্রস্তাব দেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল খালের স্বচ্ছ জলে নৌকাবিহার চালু করা।
পৌরসভার চেয়ারপার্সন সবুজায়ন, সৌন্দর্যায়ন এবং পার্ক তৈরির প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি জানান, এখানে নানা প্রজাতির বৃক্ষ ও ফুলগাছ রোপণ করে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হবে। এর ফলে এলাকায় বাতাস আরও সতেজ হবে, আর শীতকালে বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখিরা এই খালের ধারে আশ্রয় নিতে পারে বলে আশাবাদী পরিবেশকর্মীরা।
এই প্রতিবেদনটিও পড়তে পারেন: কলকাতায় বাড়ছে ‘থান্ডারস্টর্ম অ্যাজমা’র দাপট! হঠাৎ আবহাওয়া বদলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বহু মানুষ