উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : সোনারপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার পথে এলাকার মানুষ। বেআইনি জলাশয় ভরাট রুখতে ও স্থানীয়দের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করতে ব্যক্তিগত ও সংস্থার মালিকানাধীন পুকুরে মাছ চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২১০ জন পুকুর মালিককে বিনামূল্যে মাছের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। বনহুগলি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রগতি সংঘ সমবায় সমিতির মাধ্যমে মাছ বিতরণ করা হয়, যা স্থানীয় মহিলাদেরও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের জলাশয়েও ৬০ কেজি মাছ ছাড়া হয়েছে।
মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রগতি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যা গীতা নাড়ু বলেন, তাঁরা ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে অর্ডার পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় এই মাছ সরবরাহ করছেন। এর ফলে স্থানীয় মহিলারাও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুকুর নয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের জলাশয়গুলিতেও মাছ চাষের জন্য এদিন ৬০ কেজি মাছ বিতরণ করা হয়েছে। খেয়াদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা বলেন , তাঁরা ব্যক্তিগত পুকুরে চাষের জন্য ২০ কেজি করে মাছ পেয়েছেন। যা তিনি প্রথমবার পেয়েছেন।
সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, ছোট জলাশয়গুলিকে পরিত্যক্ত হতে না দিয়ে তা আয়ের উৎসে পরিণত করাই লক্ষ্য।
বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত বলেন, জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি মাছ চাষের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই উদ্যোগ। ফলে পুকুর মালিকদের পাশাপাশি বেকার যুবক ও মহিলারাও বিকল্প আয় করতে পারবেন।
সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি স্থানীয়রা। জলাশয় সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।