বাগান করতে ভালোবাসেন? সারা দিনের ব্যস্ততার মধ্যেও কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে না থাকলে আপনার হয় না? গাছের যত্নে বাজারচলতি রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে ঘরের চেনা সবজির খোসাকেই আবর্জনা হিসাবে ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান। তুচ্ছ মনে করে পেঁয়াজের খোসা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই পেঁয়াজের খোসাই এক অসাধারণ জৈব সার। পেঁয়াজের খোসায় পাওয়া যায় সালফার, কোয়েরসেটিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, লোহা, আয়োডিন, ভিটামিন, পেক্টিন, স্যাপোনিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস।
কেন অসাধারণ সার পেঁয়াজের খোসা
(১) জৈব সার হিসেবে পেঁয়াজের খোসা পচিয়ে কমপোস্ট সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। উৎকৃষ্ট মানের খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ সার এই পেঁয়াজের খোসা।
(২) গাছের গোড়ায় বেড়ে ওঠা আগাছা দূর করার অব্যর্থ ওষুধ এই পেঁয়াজের খোসা। অর্গানিক বাগান তৈরি করলে পেঁয়াজের খোসা এক অসাধারণ রাসায়নিকমুক্ত জীবাণুনাশক হতে পারে।
(৩) মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে পেঁয়াজের খোসা। শুকনো পেঁয়াজের খোসা খুব তাড়াতাড়ি মাটিতে মিশে যায়। মাটিকে পটাসিয়াম আর ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ করে। গাছকে ভালো ভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
(৪) পেঁয়াজের খোসায় পটাশিয়াম ছাড়াও থাকে ক্যালসিয়াম, লোহা, তামা আর ম্যাগনেশিয়াম। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। গাছের ফল, ফুলের উৎপাদন বাড়ে।
কী ভাবে তৈরি করবেন পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি জীবাণুনাশক
বড়ো একটা পেঁয়াজ নিন। ৪ কোয়া রসুন নিন। এক চামচ লাল লঙ্কাগুঁড়ো ও এক চামচ দারুচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে একসঙ্গে বেটে নিন। ২ কাপ জল মিশিয়ে পেস্টটা পাতলা করে সারা রাত রেখে দিন। সকালবেলায় মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে বোতলে ভরে নিন। এক কাপ এই মিশ্রণের সঙ্গে ৫ কাপ জল মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন করে দিলে পোকামাকড়ের উপদ্রব বন্ধ হবে।