প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অত্যন্ত দ্রুত এই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেরেন পাপিয়েরের করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এক গ্লাস দুধেই লুকিয়ে আছে এই কোলোরেক্টাল ক্যানসারকে জব্দ করার উপায়।
১৬ বছর ধরে ৫,৪২,৭৭৮ জন ব্রিটিশ মহিলার ওপর গবেষণা চালানো হয়। ১৬ বছরের গবেষণা চলাকালীন দেখা যায় ১২,২৫১ জন মহিলা কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যাভ্যাস ও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক গ্লাস দুধ খেলে এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এ ছাড়াও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। যে সব মহিলা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খান তাঁদের কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। দুধের পাশাপাশি দই, ইয়োগার্ট খেলেও একই রকম উপকার মেলে। কেন না দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে রাইবোফ্লেভিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম রয়েছে।
অন্য দিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন ২০ গ্রাম স্ট্যান্ডার্ড ড্রিংক (মদ্যপান) খেলে কোলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ১৫%। প্রতি দিন ৩০ গ্রাম রেড মিট খেলেও কোলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ৮%।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন যদি ৩০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া যায় তা হলে ১৭% কোলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে। এক গ্লাস দুধেই আমরা অনায়াসে এই পরিমাণ ক্যালসিয়াম পেতে পারি। কোলোরেক্টাল ক্যানসারে প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন আর ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৪০ সালের মধ্যে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে ৩২ লাখ হতে পারে আর মৃত্যু হতে পারে ১৬ লাখ মানুষের। গোটা বিশ্বেই কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কিন্তু জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের সামান্য বদলেই এই মারণ রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব।