Home শরীরস্বাস্থ্য স্মার্টফোন আসক্তিতে বাড়ছে মনঃসংযোগহীনতা ও মানসিক অস্থিরতা, ‘পপকর্ন ব্রেন’র সমস্যায় ভুগছেন না...

স্মার্টফোন আসক্তিতে বাড়ছে মনঃসংযোগহীনতা ও মানসিক অস্থিরতা, ‘পপকর্ন ব্রেন’র সমস্যায় ভুগছেন না তো?

0
mobile

আজকাল আট থেকে আশি, সব বয়সি মানুষ যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ভিডিওয়ে আসক্ত। রিল ভিডিও দেখা অনেকের কাছে নেশা হয়ে উঠেছে। তাৎক্ষণিক মনোরঞ্জন করলেও রিল ভিডিও আদতে মনঃসংযোগের বিঘ্ন ঘটায়।

আপনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক চেক করতে থাকেন, ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটাঘাঁটি করেন, ইউটিউব দেখতে থাকেন। ইমেইল ঘাঁটাঘাঁটি করেন। আপনি ফোন বন্ধ করেন কিন্তু মস্তিষ্ক ওইদিকেই পড়ে থাকে। ফোনের সামান্য টুকটাক আওয়াজেও আপনার মন গিয়ে পড়ে ফোনে কী মেসেজ এল, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কোন নতুন পোস্ট কে কে করল। ২০১১ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায় প্রথম ‘পপকর্ন ব্রেন’র কথা প্রথম শোনা যায়।

হাতে প্রচুর পরিমাণে কাজ থাকলেও রিল ভিডিও থেকে চোখ সরাতে পারেন না আসক্ত ব্যক্তি। রিল আসক্ত ব্যক্তিদের মন সব সময় উৎকণ্ঠা ও মানসিক উদ্বেগে ভুগতে থাকে। ঘুমোনো, খাবার খাওয়া সবই কম্প্রোমাইজ করেন সেই ব্যক্তি। কোনো একটা কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। মন এক জিনিস থেকে অন্য জিনিসে ঘুরে বেড়ায়। বিশ্রাম হয় না। মানসিক ভাবে অস্থির থাকেন। চিকিৎসা পরিভাষায় এটাকে বলে ‘পপকর্ন ব্রেন’।
রিল ভিডিওতে অপ্রয়োজনীয় তথ্য পপ আপ বা ভেসে ওঠে। মন, মস্তিষ্ককে তা অযথা চঞ্চল করে তোলে। অকাজে রিল ভিডিও স্ক্রল করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক মনোরঞ্জন ও সন্তুষ্টি গভীর ভাবে প্রভাব ফেলে মন মেজাজের ওপর। রিল আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। মস্তিষ্ক হাইপার অ্যাক্টিভ থাকে বলে মনঃসংযোগে ঘাটতি দেখা যায়।

পপকর্ন ব্রেনের কারণে কী কী সমস্যা দেখা গেছে

স্মার্টফোন ছাড়া মন অস্থির করে। যে কোনো কাজ শুরু করলেও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। বিভিন্ন অ্যাপ ঘাঁটাঘাঁটি করেন। কোনো কাজ ঠিক মতো শেষ করতে পারেন না। বদভ্যাসে পরিণত হয় রিল ভিডিও স্ক্রল করা।

আরও পড়ুন: ডার্ক চকোলেট ও আঙুর খেলে বাড়ে স্মৃতিশক্তি! কমে মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version