বাতাসে হালকা শিরশিরানি বুঝিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। শীত মানেই বাজারে হরেক টাটকা শাকসবজির মেলা। শীতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি হল বিট। সুপারফুড বিটে ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন বি6, সি এবং এ-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে । বিট কেবল স্যালাড হিসাবে নয় খেতে পারেন জ্যুস করেও। প্রতিদিন এক গ্লাস তাজা বিটের রস পান করা উপকারী । সামান্য লেবু এবং আদা মিশিয়ে এটি পান করলে স্বাদ বাড়ে এবং হজমশক্তিও উন্নত হয়।
প্রতিদিন কেন ডায়েটে রাখবেন বিট?
বিট রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে ৷
বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বককে টানটান এবং নরম রাখে ।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব থাকে, তাহলে লোহায় সমৃদ্ধ বিট খেলে রক্তের পরিমাণ বাড়ে। বিট প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এতে থাকা নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যা মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে তোলে । এছাড়াও বিটেইন নামক একটি উপাদান মন মেজাজ উন্নত করে, বিষণ্ণতা থেকেও রক্ষা করে।
বিটে ফাইবার থাকে বেশি তাই পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । বিটে বেটানিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর রস স্তন, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
বিটে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী । এটি কেবল রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে না, গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশেও সাহায্য করে ।
বিটে উপস্থিত নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে ৷ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় । এছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে । বিটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কম ক্যালোরি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us