দেবীপক্ষ শুরু হয়ে তৃতীয়া পড়ে গেল। পুজোর দিন এসে গেল। কিন্তু পুজোর দিনে তো শুধু নতুন পোশাক পরলেই হয় না তাল মিলিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় না থাকলে সব সৌন্দর্য, সাজগোজই মাটি। অনেকেই আজকাল ত্বকের পরিচর্যায় সেরাম ব্যবহার করেন। কিন্তু সেরাম ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম পালন করতে হয়, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
দেখে নেওয়া যাক সেইসব নিয়ম, সেইসব সতর্কতা –
(১) সেরাম বা কসমেটিকস সঠিক সময় ব্যবহার করা জরুরি। সানস্ক্রিন যেমন দিনের বেলায় ত্বকে লাগানো জরুরি তেমনই রেটিনল সেরাম রাতে লাগানো জরুরি।
(২) সেরাম কতটা পরিমাণে ও কেমন ভাবে লাগাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বেশি পরিমাণে লাগালে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
(৩) নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে লাগান সেরাম। না হলে হিতে বিপরীত হবে।
(৪) এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া সেরাম লাগালে কোনো উপকার হবে না উল্টে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
(৫) ঘরের ভেতরে সঠিক তাপমাত্রায় কসমেটিকস রাখবেন। শৌচাগার বা সূর্যের আলোয় যেখানে তাপমাত্রা বেশি সেখানে সেরাম রাখলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখবেন ভিটামিন সি সেরাম। তাপে রাখলে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
(৬) ত্বকে সরাসরি ড্রপার দিয়ে সেরাম লাগাবেন না। হাত ভালো করে ধুয়ে আঙুলে নিয়ে লাগাবেন।
(৭) সেরাম ত্বকে লাগানোর পর বেশি ঘষবেন না। চুলকানি হতে পারে। আলতো করে লাগান। কম পরিমাণে সেরাম লাগাবেন।
(৮) সেরাম লাগানোর আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। ত্বকে নোংরা থাকলে সেরাম লাগালে ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়।
(৯) সব সেরাম সবার জন্য নয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তরল সেরাম লাগাবেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য তেলযুক্ত সেরাম লাগাবেন। ত্বক অনুযায়ী সেরাম না লাগালে ত্বকে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে।