Home জীবন যেমন রূপচর্চা ফিটকিরিতে ত্বক হয় ঝকঝকে, চুল হয় সুন্দর উজ্জ্বল একঢাল

ফিটকিরিতে ত্বক হয় ঝকঝকে, চুল হয় সুন্দর উজ্জ্বল একঢাল

0

সামনেই পুজো। কিন্তু অনেকের পক্ষেই বিউটি পার্লার বা সালোঁতে গিয়ে বিউটি ট্রিটমেন্ট করানো সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতেই চটজলদি ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানেই। ফিটকিরি বহু বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ত্বক ও চুলের যত্নে।

আসুন দেখে নিই কীভাবে ফিটকিরি ব্যবহার করে মিলবে উজ্জ্বল ত্বক ও ঝকঝকে একঢাল সুন্দর চুল –

১) ফিটকিরিতে আছে অ্যাসট্রিনজেন্ট গুণ যা ত্বককে টানটান রাখে। কুঁচকে যাওয়া আটকায়। ফিটকিরি গুঁড়ো আর গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। বিশেষ করে যেসব জায়গা কুঁচকে গেছে, সেইসব জায়গায়। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরমজলে ধুয়ে নিন। ফিটকিরির প্রভাবে ত্বকের কোলাজেন প্রোটিনের মাত্রা বাড়ে। ত্বক নরম হয়। বয়স কম লাগে।

২) ফিটকিরিতে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক গুণ যা ব্রণ, ফুসকুড়ি সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকায়। ত্বকের ফোলা ও লালচে ভাব কমায়। একচামচ ফিটকিরিগুঁড়ো জলে মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। এরপর তুলোর বল জলে ভিজিয়ে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। রোজ এটা করুন।

৩) ফিটকিরিগুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বকের কালচে ভাব কেটে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান হবে।

৫) ত্বকে কেটে বা ছড়ে গেলে সেখানে ফিটকিরির টুকরো ঘষলে আরাম মেলে। সংক্রমণ আটকায়।

৪) শুধু ত্বকই নয়, চুলের যত্নেও ফিটকিরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে ও মাথার তালুতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব হয় বলে খুশকির সমস্যা হয়। ফিটকিরির অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ থাকে বলে তা তালু পরিষ্কার করে সংক্রমণ আটকায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়া বন্ধ হয়। চুলে শ্যাম্পু করার পর ফিটকিরিগুঁড়ো মেশানো জল দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা জলে ফের চুল ধুয়ে নিন।

আরও পড়ুন

নিমের বীজেই জব্দ খুশকি

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version