Home খাওয়াদাওয়া খাওয়াদাওয়া দিনের কোন সময় ওটস খেলে মিলবে উপকার, কী বলছে গবেষণা

দিনের কোন সময় ওটস খেলে মিলবে উপকার, কী বলছে গবেষণা

0

ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবারে সমৃদ্ধ ওটস দারুণ উপকারী খাবার। দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে অনেকেই ওটস খান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে খালি পেটে ওটস খাবার হিসাবে খেলেই বেশি ফল মেলে। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির গবেষণায় দেখা গেছে, ওটমিল খেলে নিয়মিত ব্রেস্ট, প্রস্টেট এবং জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে। কারণ ওটসে লিগন্যান নামক পদার্থ আছে যা ক্যানসার ও কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করতে পারে।

কেন সকালে জলখাবারে ওটস খাওয়া উপকারী

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য দারুণ উপকারী ওটস। কারণ, ওটসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে ওটস খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা হুট করে বেড়ে যায় না। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ওটস। এ ছাড়াও ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট আছে বলে ওটস গ্লুকোজ ও বিটা গ্লুকোনের রূপান্তর প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হয়।

এ ছাড়াও ফাইবার থাকে বলে ওটস হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফাইবার, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

সকালে খালি পেটে ওটস খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। খাইখাই ভাব কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার থাকে বলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ওটস ক্রনিক রোগের কারণে শরীরে হওয়া ফোলা ভাব কমায়। এ ছাড়াও ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ওটস খেলে হাড় মজবুত হয়।

ওটস হল এমন এক সুপারফুড যা প্রোটিনে সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই থাকে বলে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ইউরিনারি প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে বলে ওটস ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আরও পড়ুন

হার্ট ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে কোন মাছ খাবেন, কী বলছে গবেষণা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version