Home খাওয়াদাওয়া খাওয়াদাওয়া বেশি তাপে অনেকক্ষণ ধরে কষিয়ে কষিয়ে ডিম রান্না করে খাচ্ছেন? কী বিপদ...

বেশি তাপে অনেকক্ষণ ধরে কষিয়ে কষিয়ে ডিম রান্না করে খাচ্ছেন? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন

0

মাছ, মাংসের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই সস্তায় পুষ্টিকর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে ডিমের দিকে হাত বাড়ান। উচ্চ মানের প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ আর ভিটামিনে সমৃদ্ধ ডিম। কোলেস্টেরল থাকে ডিমে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিমে কোলেস্টেরল থাকলেই যে সেটা হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য চিন্তার, এমন নয়। কী ভাবে ডিম রান্না করা হচ্ছে, সেটিই আসলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ডিমের কুসুমে ১৮৬ মিলিগ্রাম ডায়েটারি কোলেস্টেরল থাকে। এই ডায়েটারি কোলেস্টেরলকেই আগে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার জন্য দায়ী করা হত। হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে করা হত। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতি দিন একটা গোটা ডিম খাওয়া ভালো।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিম কী ভাবে রান্না করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে রান্না করা ডিমের পুষ্টিগুণ। সাধারণত, অনেক তাপে দীর্ঘ সময় ধরে ডিম রান্না করা হলে ডিমের ভেতরে থাকা ডায়েটারি কোলেস্টরেল অক্সিডাইজ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় অক্সিস্টেরল নামক ক্ষতিকর টক্সিক পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থের কারণে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ফোলা ভাব বেড়ে যায়। হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ তাপে ডিম, মাংস, চিজের মতো কোলেস্টেরল থাকা খাবার রান্না করলে অক্সিস্টেরল নামক পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থ ধমনীর দেওয়াল মোটা করে দেয়। রক্তনালিতে প্লাক তৈরি হয়। হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে।

তাই কম তাপে ডিম রান্না করুন। এতে অক্সিস্টেরল নামক পদার্থ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কমে। কম সময় ধরে ডিম রান্না করলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। অক্সিডেশনের ঝুঁকি কমে। ডিমের সঙ্গে সবজি দিয়ে রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়বে। সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ঝুঁকি কমায়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version