ভারতে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার নিয়োগের জন্য ভারত সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “আমরা ভারতের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। তবে এটি স্বাভাবিক সময়ের মধ্যেই রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকলেও, সাধারণত তিন থেকে চার মাস সময় লাগে।”
শেখ হাসিনার নাগরিকত্ব নিয়ে জল্পনা
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, মুখপাত্র জানান, “সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। এটি সম্পূর্ণ ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।”
শেখ হাসিনার ভিসা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, কোনও ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরে ভিসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন হয় না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পাসপোর্ট বিভাগ ৯৭ জন ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল করেছে, যাঁদের মধ্যে শেখ হাসিনার নামও রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে জুলাই মাসে হত্যাকাণ্ড ও গুমের অভিযোগ রয়েছে।
হাসিনার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক
গত বছরের আগস্টে গণআন্দোলনের জেরে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েন এবং তখন থেকে ভারতে থাকছেন। ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য একটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছে। তবে এখনও ভারতের তরফ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে
দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং অন্যান্য নথিপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে, মুখপাত্র জানান, “সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।”
শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান এবং নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনারের নিয়োগের প্রক্রিয়া কত দ্রুত সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার গুরুত্ব আরও বাড়ছে।